বরিশাল নগরীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকার, থানায় মামলা

কামরুন নাহার | ২০:১৯, জুলাই ১১ ২০২৩ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর আমানতগঞ্জ দারুল কুরআন আদর্শ হাফিজিয়া মাদরাসার মুহতামিম হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অত্র মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র জিহাদুল ইসলাম রাতুলকে (৯) বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২৩ জুন লম্পট হুজুর হুমায়ুন কবির মাদ্রাসা কক্ষে বসে মাদ্রাসা ছাত্র রাতুলকে বলাৎকার করে এবং কাউকে কিছু বললে হত্যার হুমকি দেয়। পরে সুযোগ বুঝে আরো কয়েকবার বলাৎকার করে। কুরবানীর ঈদে মাদ্রাসা ছুটি হলে রাতুলের হাটাচলার কিছুটা পরিবর্তন দেখে তার মা জিজ্ঞেস করলে রাতুল সবকিছু বলে দেয়। গত ৬ জুলাই ঘটনা জানাজানি হলে লম্পট হুজুর হুমায়ুন কবিরের পক্ষে স্থানীয় নিজাম ও মিরাজ এসে ভুক্তভোগী রাতুলের মাকে এসে বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সুযোগ বুঝে লম্পট হুজুর রাতের আঁধারে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী রাতুল বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসায় বর্তমানে কোন ছাত্র নেই ইয়াসিন নামের একজন হুজুর ছিল তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন একটা ঝামেলার কারণে মাদ্রাসা আপাতত বন্ধ রয়েছে। হুমায়ুন কবির হুজুর কোথায় গেছে তা আমি জানিনা। কার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলেও তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে ভুক্তভোগী রাতুলের মা কাউনিয়া থানায় গিয়ে লম্পট হুজুর হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ১০। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রাতুলের মা রোজিনা বেগম বলেন, আমার ৯ বছরের বাচ্চার সাথে লম্পট হুমায়ুন হুজুর যে কাজ করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমি তার মাদ্রাসায় বিশ্বাস করি আমার ছেলেকে পড়তে দিয়েছিলাম কিন্তু সে এরকম একটি নেক্কারজনক কাজ আমার ছেলের সাথে করবে যা ভাবতেও পারিনি। এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে।