এস এন পলাশ।।
পঁচিশ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়ে কাউন্সিলর হলেন মুন্না হাওলাদার। বলছিলাম বরিশাল নগরের ২নং ওয়ার্ডে এবারের সিটি নির্বাচনের কথা।
বরিশাল পৌরসভা ও পরে সিটি কর্পোরেশন গঠিত হওয়া থেকে একনাগাড়ে টানা পঁচিশ বছর ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন মর্তুজা আবেদিন।
এই প্রথম তার পরাজয়।
এবারের সিটি নির্বাচনে ঐ ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মুন্না হাওলাদার। মুন্না হাওলাদার ২নং ওয়ার্ডের কাউনিয়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কাদের হাওলাদারের ছেলে ও সদ্য বহি:ষ্কৃত মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক রইজ আহম্মেদ মান্নার বড় ভাই। পঁয়ত্রিশ বছরের যুবক মুন্না হাওলাদারের এই জয় এত সহজ ছিলোনা।
এবিষয়ে কথা হয় নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মুন্নার সাথে। তিনি বলেন এই ওয়ার্ড থেকে "কাউন্সিলর হওয়ার স্বপ্ন" আমার ছোট ভাই রইজ আহম্মেদ মান্নার দীর্ঘদিনের।
আমি মূলত ওর সাথে ডামি প্রার্থী হিসেবে টাকা দাখিল করেছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারনে নির্বাচন করা না হলেও মান্নার বিজয় ঠেকাতে পারেনি ষড়যন্ত্রকারীরা।
আজকের আমার এ বিজয় আমার নয়।
এই জয় রইজ আহম্মেদ মান্নার।
মুন্না বলেন, রাজনৈতিক মামলায় জেল হাজতে আছে আমার ছোট ভাই মান্না। তবুও নির্বাচনে লড়াই করতে গিয়ে পদে পদে বাঁধা বিপত্তিতে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি মান্না।
গত (১৪ই মে)নির্বাচন কমিশনে টাকা দাখিলে মান্নার ফরমে একটা জায়গায় তারিখে ভুল হয়। সেকারনে প্রথম দফায় বাতিল হয় ওর প্রার্থীতা।
এরপরে হাইকোর্টে শুনানি করে প্রার্থীতার বৈধতা পায় রইজ আহম্মেদ মান্না।
মান্নার প্রার্থীতা বৈধতা পাওয়ার খবরে এলাকাবাসী নিজেদের থেকেই প্রচারণা শুরু করে।
তবে সেখানেই থেমে থাকেনি মান্নার নির্বাচনে বাঁধা।
নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দুদিন আগে (৮জুন) কোনো এক ব্যক্তির আবেদনে মান্নার প্রার্থীতা বাতিল করে আদালত।
এরপর (৯জুন) মান্নার বড় ভাই মুন্না হাওলাদার প্রচারণা করেন তার প্রতীকের।
একদিনের প্রচার প্রচারণায় কমিশনার হওয়া কোনো মতেই সম্ভব নয় মন্তব্য করে মুন্না হাওলাদার বলেন, আমার ভাই রাজনীতি করে মানুষের মন জয় করতে পেরেছে তারই বাস্তব উদাহরণ আজকে আমি কাউন্সিলর।
জনগণ ভোট আমাকে নয়, মান্নাকেই দিয়েছে।
সর্বোপরি কাউন্সিলর হিসেবে ২নং ওয়ার্ড বাসীর কাঙ্খিত চাহিদা পুরনের অঙ্গিকার ও করেন তিনি।