বরিশালে সেই কাউন্সিলর আনিছের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ১৯:৩৫, জুন ০৭ ২০২৩ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এক নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার জন্য থানায় আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা কোতোয়ালী মডেল থানায় এ অভিযোগ জমা দেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল হক। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি হলেন বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদ্য বহিষ্কৃত সদস্য শরীফ আনিছুর রহমান। তিনি নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এবং ১২ জুন অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রার্থী। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর রহমান এ অভিযোগ করেন। এটি বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের ছাত্র সংগঠন। মহানগরীর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, “লিখিত আবেদনে ত্রুটি রয়েছে। সেটা ঠিক করে আনতে বলেছি। ঠিক করে নিয়ে এলে অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।” এর আগে গত ৪ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে শরীফ আনিছুর রহমান বলেন, “বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে হারাতে তার বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও তার ছেলে বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ হাত পাখা মার্কার প্রার্থীকে তিন কোটি টাকা দিয়েছেন।” তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সেই রাতেই বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন শরীফ আনিছুর রহমান। ঘটনার দুই দিন পর এই কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলো। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, “বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীমের সমর্থন দেখে বিবাদী তার অজ্ঞাত নেতাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভ্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছেন। এতে হাতপাখার প্রার্থী প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন। প্রার্থীর সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ বক্তব্যের কারণে সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। তার মিথ্যা বক্তব্যে নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।” এর মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক আদর্শে অন্যায় আঘাত করে সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি এবং সৌহার্দপূর্ণ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বিশৃঙ্খল অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগে লেখা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, “এর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ঘোলাটে করে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আর্থ-সামাজিক অবস্থা নষ্ট করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আসামি ইসলামী আন্দোলনের অনুভূতি ও মূল্যবোধের উপর আঘাত করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় অপরাধ করেছেন।” কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”