জয়নাল-শেখরের হামলায় রক্তাক্ত উঠান বৈঠক

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ১১:৪১, জুন ০৪ ২০২৩ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কিছু দিন বিরতি দিয়ে আবার স্বরুপে ফিরেছে নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী ও দখলবাজ খ্যাত শেখর চন্দ্র দাস। চাঁদাবাজীর অভিযোগে দল থেকে বহিস্কৃত এই নেতা এবার ত্রাসের দিকে ঝুকেছে। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালিয়েছে আওয়ামীলীগের উঠান বৈঠকে। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌকা প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। শুধু শেখর একাই নন তার সাথে প্রত্যক্ষ মদদ দিয়েছে ১০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিন। তাদের হামলায় নৌকার সমর্থক সুমন হাওলাদার, আওয়ামীলীগ নেত্রী রেশমা সহ অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হন। যাদের তাৎক্ষনিক শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকা জনক। এই ঘটনার পর জয়নালের সমর্থকরা কাউন্সিলর প্রার্থী শহিদুল্লাহ কবিরের কেডিসি বস্তির সমস্ত পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে ও আওয়ামীলীগ নেত্রী রেশমার দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে। এদিকে আহতদের মধ্যে রুবি আক্তার নামের এক নারী কোতয়ালী থানায় এজাহার নিয়ে গেলে থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক তা গ্রহন করেননি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন বিষয়টি আমরা একটু তদন্ত করে দেখছি। মামলা নেওয়ার মত হলে অবশ্যই নেওয়া হবে। জানা গেছে শুক্রবার সন্ধ্যার পর শহরের বান্দরোডস্থ পাবলিক লাইব্রেরির পাশে খোলা মাঠে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) এর উঠান বৈঠক ছিলো। বৈঠক শুরু হবার পর পরই শেখর ও জয়নাল গ্রুপ মঞ্চে ওঠা নিয়ে বৈঠকে আসা নৌকার সমর্থকদের উপর হামলা শুরু করে। সংঘর্ষের পর প্রার্থীর বৈঠক পন্ড হয়ে যায় এবং এই ঘটনায় শহিদুল্লাহ সমর্থক অন্তত ৫ জন রক্তাক্ত জখম হন। পরে খবর পেয়ে র‌্যাব-পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও তাৎক্ষনিক এই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি র‌্যাব। আহত সুমনের স্ত্রী জানান, বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র অনুসারী ১০ নং ওয়ার্ড আ’লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক শেখর চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। এতে তার স্বামীসহ নৌকার অন্তত ৫ কর্মী আহত হয়েছেন। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শেখর চন্দ্র দাস বলেন, তিনিসহ তার কর্মীরা নৌকা প্রার্থীর উঠান বৈঠকের মঞ্চে উঠতে ছিলেন, এমন সময় ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল্লাহ কবিরের লোকজন অর্থাৎ সুমন হাওলাদারসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন তাদের ওপর হামলা করে। এতে তাদের গ্রুপের অন্তত ৫ কর্মী আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈঠক শুরুর আগেই আ’লীগের দুটি গ্রুপ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ায় নৌকা প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এবং তার সাথে আসা মহানগর ও জেলার নেতারাও চলে যান।