বরিশালে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে খোকন সেরনিয়াবাত

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ১৯:৩১, মে ৩০ ২০২৩ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বরিশালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত আস্তে আস্তে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। তার এখন সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিজ দলীয় লোকজন। মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর থেকেই নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের পাশে দাঁড়াননি ৩০টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অধিকাংশ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং তাদের অনুসারীরা। এ বিষয়ে মহানগর আ.লীগের সভাপতি ও জেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক সহ সাদিক অনুসারীরা দলীয় প্রচারণায় অংশগ্রহনের বিষয়ে বার বার জানিয়েছেন বর্ধিত সভা করে সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর দিক-নির্দেশনা নিয়ে প্রচারকার্য চালাবেন। তবে ২৬ মে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় নৌকার পক্ষে কাজ করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। কিন্তু সংসদ সদস্যের সেই নির্দেশ মেনে এখনো নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের পাশে দাঁড়াননি মহানগর আ.লীগের সভাপতি সহ ৩০টি ওয়ার্ড আ.লীগের অধিকাংশ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং তাদের অনুসারীরা। তাহলে কি খোকন সেরনিয়াবাতের পরাজয়ে মিলবে তাদের আত্মতুষ্টি? দলের চেয়ে ব্যক্তির স্বার্থকে বড় করে দেখছেন তারা। আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও কেবলমাত্র মেয়র সাদিককে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ায় খোকন সেরনিয়াবাতকে হারাতে কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন তার অনুসারীরা। তাদের নিরব সমর্থনে বরিশালে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিম হাতপাখা প্রতীকে প্রচারণায় ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন। অন্যদিকে বরিশালে আওয়ামী লীগের যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সেটি এখনো রয়েছে গেছে। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও এক পক্ষ অন্য পক্ষের নামে বিষেদগার ছড়াচ্ছে। যা আওয়ামী লীগ প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে আস্তে আস্তে কোণঠাসা করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এতে শুধু নৌকার মনোনীত প্রার্থীর পরাজয় হবে না, পরাজয় হবে আওয়ামী লীগের। গাজীপুরে নৌকার প্রার্থীর পরাজয়ের বড় কারণ হলো কর্মীদের অসহযোগিতা এটাই তারা মনে করেন। বরিশালে নির্বাচনী ময়দানে কাজ করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, দলের মধ্যে পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস নৌকার প্রার্থীর জন্য কত ক্ষতিকর হতে পারে তার বড় উদাহরণ হলো গাজীপুর। এ থেকে আওয়ামী লীগ অবশ্যই শিক্ষা নিতে চায়। কর্মীরা যাতে বরিশালে নৌকার প্রার্থীকে অসহযোগিতা না করেন তার জন্য সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চান তারা।