ঝালকাঠিতে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে জখম

কামরুন নাহার | ১৬:৪১, এপ্রিল ২১ ২০২০ মিনিট

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ।। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই শহরের পশ্চিমচাদকাঠি এলাকায় চাচাতো ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে সরোয়ার হোসেন মুন্না (২৭) নামে এক যুবক। সোমবার রাতে পশ্চিম চাঁদকাঠি কালিমন্দিরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসীর হাতে আটক হয় হামলার নেতৃত্বদানকারী আসাদুজ্জামান সোহেল (৩৬)। তাকে স্থানীয়রা উত্তম-মধ্যম দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত সরোয়ার হোসেন মুন্না একই এলাকার মো. হায়দার রহমানের ছেলে। সে ঝালকাঠি সরকারি কলেজের বিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। মুন্নার আপন চাচাতো ভাই আসাদুজ্জামান সোহেলসহ তিনজন হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করেছে বলে আহতর ভাই মো. শাহরিয়ার রহমান অভিযোগ করেন। মুন্নার পিঠে তিনটি ও কপালে একটি গুরুতর জখম হয়েছে। আহত মুন্নাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পশ্চিম চাঁদকাঠির মৃত শাহজাহান মিয়ার চার ছেলের মধ্যে তৃতীয় ছেলে মো. মজিবর রহমানের কোনো সন্তান নেই। দ্বিতীয় ছেলে হায়দার রহমানের চার ছেলে ও এক মেয়ে। হায়দার রহমানের তৃতীয় ছেলে সরোয়ার হোসেন মুন্নার জন্মের পরপরই চাচা মজিবর রহমান পালক ছেলে হিসেবে লালন-পালন করেন। বিষয়টি স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নেয়নি বড় ভাই খলিলুর রহমান ও তার পাঁচ ছেলে। মেজ ও সেজ ভাইয়ের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করলেও বড় ভাইর ছেলেরা তেমন একটা লেখাপড়া করে না। নিজেদের বসতবাড়ি ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে মজিবর রহমান, খলিলুর রহমান ও হায়দার রহমানের ছেলেদেরে মধ্যে গত দুই বছর ধরে বিরোধ চলছে। একাধিকবার মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। সর্বশেষ সোমবার রাতে বড় ভাই খলিলুর রহমানের ছেলে আসাদুজ্জামান সোহেলের নেতৃত্বে তিন-চারজন মিলে সরোয়ার হোসেন মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করা হয়। ঝালকাঠি থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বড় চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। আহতর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলেই মামলা নেওয়া হবে। আহতর পালক বাবা (চাচা) মজিবর রহমান বলেন, বরিশাল মেডিক্যালে মুন্নার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। কিছুটা শঙ্কামুক্ত হলেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।