কামারখালি কলেজের প্রভাষক মনিরের কান্ড!

নিজেস্ব প্রতিবেদক | ১১:৩৪, মে ১৯ ২০২৩ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক।। আলহাজ্ব হযরত আলী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মনিরের নারী কেলেঙ্কারি ফাঁস। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩নং দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের কামারখালি আলহাজ্ব হযরত আলী ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মো: মনিরের নারী কেলেঙ্কারি ফাঁস নিয়ে তোলপাড়। একাধিক ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কলেজে যোগদানের পর থেকেই একের পর এক শিক্ষার্থীদের সাথে কুপ্রস্তাব ও মেয়েদের উত্যক্ত করা যেনো প্রভাষক মনিরের নেশা। নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় এর আগে এক শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের লোকজনের পা ধরে মাফ চেয়ে রক্ষা পায় সে-যাত্রায়। তখন সেঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষ তাকে শাসালেও পরিবর্তন হয়নি তার নেশা। প্রভাষক মনিরের কিছু অশ্লীল ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সামালোচনার ঝড় তোলে। এছাড়াও কয়েকমাস আগে কামারখালি কলেজের এক সাবেক শিক্ষার্থীর একটি ভয়েস রেকর্ড ছড়িয়ে পরে এলাকাজুড়ে। রেকর্ডে শোনা যায়, সাবেক ঐ শিক্ষার্থী জান্নাতকে(ছদ্মনাম) বরিশাল নগরীর বিএম কলেজ এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে ডাকে প্রভাষক মনির। সেখানে জান্নাত আসলে তাকে কলে কৌশলে কোমল পানির সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় প্রভাষক মনির। সেসময় অনেকটা ধস্তাধস্তি করে কোনো মতে পার পেয়ে যায় জান্নাত। রেকর্ডের বিষয়ে জান্নাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কামারখালি কলেজের প্রভাষক মনির আমার মোবাইল ফোনে বিভিন্ন আজেবাজে এসএমএস পাঠায়। এরপর একদিন আমাকে কল করে বলেন বিএম কলেজের সামনে আসো জরুরি ইকটু কথা আছে। তার কথামত আমি কলেজের সামনে গেলে তিনি একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে অনেকটা জোর জবরদস্তি করে আমাকে একটা কোক খাওয়ায়। এতে অনেকটা অচেতন হয়ে যাই আমি। এরপরে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয় প্রভাষক মনির। এসময় তার কাছ থেকে বাঁচতে জোরাজোরি করে ছুঁটে যাই এতেকরে তার নখের আছরে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হয়ে যায়। এবিষয় প্রভাষক মনিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চেতনানাশক কিছু খাওয়ানি। তবে জান্নাতের সাথে জরুরি কিছু কথা ছিলো তাই ওর সাথে দেখা করতে বরিশাল বিএম কলেজের সামনে যাই। ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করলেও নিউজটি যেনো প্রকাশ না হয় সেজন্য দৌড়ঝাঁপ করেন তিনি।অপরদিকে প্রভাষক মনির নিজেকে বরিশালের বিতর্কীত পত্রিকা বরিশাল ক্রাইম পত্রিকার একজন শেয়ার হোল্ডার দাবি করে। সে জানান আমিও একজন সাংবাদিক, অথচ সেই পত্রিকার কতিথ প্রকাশক ও সম্পাদক হলো,চাঁদাবাজ শাহ-আলম শাহ।