নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগৈলঝাড়া উপজেলার পূর্ব পয়সা গ্রামের ডুমুর বাড়ী নিবাসী এলাহী বক্তিয়ারের বিরোদ্ধে উক্ত গ্রাম নিবাসী মোঃ আজিজ বক্তিয়ারে মেয়ে শারমিন বেগমের মাছের ঘেরের পাড় ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে ভেঙ্গে তার নিজের জমির পাড় বানানোর অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।
গত ১০/০৫/২০২৩ ইং তারিখ রোজ বুধবার কাক ডাকা ভোরে আলমগীর খন্দকারের পরিচালিত ভেকু মেশিন দিয়া এহালী বক্তিয়ারের নির্দেশে শারমিন বেগমের মাছের ঘেরের পশ্চিম পাড় সম্পূর্ণ অংশ কেটে ভেঙ্গে সমতল জমি বানিয়ে ফেলে। শারমিন বেগমের উক্ত ছাফ কবলা ক্রয়কৃত মাছের ঘের তাহার আপন চাচা হাবীব বক্তিয়ার দেখাশুনা করেন। তাহারা বাঁধা দিয়েও উক্ত মাছের ঘেরের পাড় কাঁটা ফিরাতে পারেননি। প্রকাশ থাকে-আলমগীর খন্দকার এবং বাবুল খন্দকার আপন দুই ভাই। আলমগীর খন্দকারের ভোগদখলীয় এক বিঘা জমি ক্রয় করেন এলাহী বক্তিয়ার এবং দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত জমি তিনি ভোগদখল করছেন। আর বাবুল খন্দকারের ভোগদখলীয় মাছের ঘের শারমিন বেগম ছাফ কবালা ক্রয় করে, বিনা বাঁধায় ভোগ দখল করছেন।
কিন্তু হঠাৎ উক্ত তারিখে এলাহী বক্তিয়ারের নির্দেশে আলমগীর খন্দকারের নেতৃত্বে ভেকু মেশিন দিয়ে পাড় কেটে সমতল জমি করে ফেলে। যা সম্পূর্ণ অসামাজিক কর্মকান্ড বটে। উল্লেখ্য উক্ত জমি ছাফ কবালা দলিলের দিন আলমগীর খন্দকার উক্ত জমির দলিল সম্পাদনের ব্যাপারে উপঢৌকন গ্রহণের মাধ্যমে ক্রেতা বিক্রেতাকে নির্ভেজাল জমি বলে নিশ্চয়তা দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। উক্ত মাছের ঘের ক্রেতা মালিক পক্ষ শারমিন বেগমের চাচা হাবিব বক্তিয়ার গং গ্রাম্য গণ্যমান্য শালিশগণের নিকট উক্ত ঘেরের পাড় ভেঙ্গে ফেলার ক্ষতিপূরণ দাবী করে বিচার প্রার্থনা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় বা কোর্টে কোন মামলা করা হয়নি। কিন্তু উক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলার সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।