আমতলীতে স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে স্বামীর আত্মহত্যা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৫২, এপ্রিল ১০ ২০২৩ মিনিট

বরগুনা প্রতিনিধি ॥ আমতলীর সেকান্দার খালী গ্রামের আবু হানিফ নামে (৩৫) নমে এক যুবকের স্ত্রীর পরকিয়ার জের ধরে অভিমানে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ জোর পূর্বক হত্যার উদ্দেশ্যে গ্যাসের ট্যাবলেট সেবনের। শ্বশুর বাড়ি দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামে এ রবিবার (৯ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, আমতলী সদর ইউনিয়নের সেকান্দারখালী গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে আবু হানিফের (৩২) সাথে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের মৃত তোফাজ্জেল হাওলাদারের মেয়ে রিপার (২৫) ২০১৬ সালে বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে শাহিন (৬) নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। হানিফের পরিবারের অভিযোগ, রিপা সেকান্দারখালী গ্রামের ইউপি সদস্য আবু হানিফ বাবুর সাথে প্রেমে জড়িয়ে পরে। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগরা হত। এক পর্যায়ে গত ১লা এপ্রিল রিপা আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে স্বামী আবু হানিফকে তালাকের নোটিশ পাঠায়। এ ঘটনা হানিফ জানত না। রবিবার রাতে হানিফ তার শ্বশুর বাড়ি গেলে স্ত্রী রিপার সাথে ঝগরা এবং মারপিটের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আবু হানিফ স্ত্রীর সাথে অভিমান করে চালে পোকা দমনের গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অচেতন হয়ে পরে। এসময় গুরুতর অসুস্থ হানিফকে স্ত্রী রিপা আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পথেই তার মৃত্যু হয়। হানিফের স্ত্রী রিপা তার স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টার খবর জানিয়ে ৯৯৯ ফোন করেন। খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ হানিফ এবং তার স্বজনদের খবর দিলে তারা পটুয়াখালী হাসপাতালে গিয়ে দেখেন হানিফ মারা গেছে। আবু হানিফের মামা মো. মোশারেফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, স্ত্রী রিপা বেগম পরকিয়া করায় হানিফকে হত্যার জন্য জোরপূর্বক তাকে গ্যাসের ট্যাবলেট সেবনে হত্যা করেছে। আমরা এঘটনায় হত্যা মামলা করবো। আবু হানিফ এর বোন হালিমা বেমম বলেন, বিয়ের পর থেকেই রিপা পরকিয়া করত। একারনে সে আমার ভাইকে তালাকের নোটিশ পাঠায় এবং ঘটনার দিন সে স্ত্রীর নিকট গেলে তাকে ট্যাবলেট সেবনে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। এবং আমার ভাইয়ের মৃত্যু হলে রিপা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসে। অভিযুক্ত রিপা বেগম পরকিয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, স্বামী আবু হানিফের সাথে আমার সাংসারিক বনি বনা না হওয়ায় তাকে আমি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ১ এপ্রিল তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছি। এবং তাকে আমাদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করেছি। তারপরও সে রবিবার রাতে গ্যাসের ট্যাবলেট সেবন করে আমাদের বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে পরে। তাৎক্ষনিক তাকে আমরা আমতলী হাসপাতালে নিয়ে যাই। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। এর আগে আমি সব ঘটনা জানিয়ে ৯৯৯ ফোন করি। আমতলী থানার ওসি তদন্ত রনজিৎ কুমার সরকার জানান, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে আমরা আবু হানিফের স্বজনদের খবর দেই। এবং হাসপাতালে পুলিশ পাঠাই। আবু হানিফকে পটুয়াখালী হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হওয়ায় ওই হাসপাতালে তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।