পটুয়াখালীতে র্যাবের অভিযানে মলমপার্টির মূলহোতা গ্রেপ্তার
পটুয়াখালী প্রতিবেদক ॥ বরিশাল ও নারায়ণগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে মলমপার্টির মূলহোতা চান্দু মিয়া জোমাদ্দার ওরফে চান্দু (৫০) গ্রেপ্তার হয়েছে। পটুয়াখালীর দুমকি টোলপ্লাজা থেকে তাকে শনিবার (৮ এপ্রিল) সকালে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব। শনিবার বরিশাল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৮) আওতাধীন পটুয়াখালী ক্যাম্পপ্রধান (সহকারি পুলিশ সুপার) তুহিন রেজা এই তথ্য বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার চান্দু মিয়া জোমাদ্দার ওরফে চান্দুর বাড়ি পটুয়াখালীর খলিসাখালীর হলেও ইতিপূর্বে সে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে ব্যক্তি-বিশেষকে অচেতন করে সর্বস্ব লুটে নেয়। এবং তার নেতৃত্বে অন্তত ২০ থেকে ৩০ সদস্যের সক্রিয় একটি দল মাঠে থেকে অপরাধ সংঘটিত করে। এসব ঘটনাবলীতে তার বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে।
ইমেল বার্তায় র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর চান্দু মিয়া জোমাদ্দার ওরফে চান্দু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে দীর্ঘদিন যাবৎ মলমপার্টির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করে। এমনকি তারা কয়েকজন মিলে একটা চক্র রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে বরিশাল অঞ্চলের হাট-বাজার, বাসে, বিশেষ করে লঞ্চে বিভিন্ন কায়দায় মলম ব্যবহার করে ব্যক্তি-বিশেষকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটে নেয়।
পটুয়াখালী র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক তুহিন রেজা জানান, মলমপার্টির মূলহোতা চান্দু মিয়া জোমাদ্দার ওরফে চান্দু আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অপরাধ সংঘটিত করে আসছিল। সম্প্রতি নারায়ণঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি টিম এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এবং তারা একপর্যায়ে নিশ্চিত হয় চান্দু মিয়া পটুয়াখালীতে অবস্থান করছে। পরবর্তীতে আমাদের (পটুয়াখলী র্যাব) সহযোগিতায় শনিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে পটুয়াখালী থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।