মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের চমক: এবার ৭০০০ পিস ইয়াবাসহ নারী গ্রেপ্তার
দেশ জনপদ ডেস্ক|১৯:৫৩, এপ্রিল ০৩ ২০২৩ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মাদক উদ্ধার অভিযান এবং বিক্রেতাদের গ্রেপ্তারে একের পর এক চমক সৃষ্টি করে চলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। চলতি সপ্তাহে এই সংস্থাটি বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করে এবং বিক্রেতাদের গ্রেপ্তারসহ মাদক উদ্ধারেও সফলতা পায়। সর্বশেষ এবার ইয়াবার বড় একটি চালানসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি। ৭ হাজার পিসের এই চালানটি নিয়ে মোসা. কল্পনা (৩৩) নামের ওই নারী বরিশাল নগরীতে প্রবেশের পথে তাকে বাবুগঞ্জের নতুনহাট বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এর দুদিন আগে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যাত্রী পরিবহনকারী এমভি এডভেঞ্চার লঞ্চে অভিযান চালিয়ে সংস্থাটি ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। সেই সাথে গ্রেপ্তার করে মাদক বহনের কাজে নিয়োজিত দুই নারীসহ চারজনকে। প্রতিটি মাদক উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্বে দিচ্ছেন সংস্থাটির বরিশাল বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সরকারি পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন।
এই কর্মকর্তা জানান, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিটি অভিযান চালাচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে বেশ সফলতা পাচ্ছেন। চলতি মাসে তাদের অভিযানে অন্তত ১০০ কেজি গাঁজা, বিপুলসংখ্যক ইয়াবা ও ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়েছে। সবশেষে রোববার উদ্ধার করলেন ৭ হাজার পিসের এই চালানটি। সাথে গ্রেপ্তার করেছেন ত্রিশোর্ধ্ব নারীকে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, কল্পনা নামের এই নারী মাদকের বড় একটি চালান নিয়ে বরিশালে ঢুকছেন এমন খবরের ভিত্তিতে তাদের একটি টিম রোববার বিকেলে বাবুগঞ্জের নতুনহাট বাজারে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে ওই নারী বরিশালগামী বাস থেকে নেমে কিছুটা দূরে অপেক্ষা করছিলেন, এমন সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং পরক্ষণে তার ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবার চালানটি উদ্ধার করে।
কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, গ্রেপ্তার কল্পনা মাদকের এই বড় চালানটি বরিশালের কোথাও কারও কাছে পৌছে দেওয়ার উদ্দেশে নিয়ে এসেছিলেন। তার স্বামী বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া হলেও তিনি বাবার বাড়ি বাবুগঞ্জের আগরপুর ইউনিয়নে বাবার বাসায় বসবাস করেন। এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক সরবরাহের কাজে নিয়োজিত আছেন।
সংস্থাটি একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে ঘিরে বরিশালের ব্যবসায়ীরা মাদক মজুতের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু করেছে। বিভিন্ন মাধ্যম এই খবর নিশ্চিত হয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেছেন। অব্যাহত অভিযানে বড় বড় মাদকের চালান ধরা পড়ছে। অপরাপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো মাদক নির্মূলে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা দিয়ে মাঠে থাকলেও উদ্ধার অভিযানে একের পর এক চমক তৈরি করে চলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।