টিসিবির পন্য অবৈধভাবে মজুদের অভিযোগে ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২৩:০৬, মার্চ ১৮ ২০২৩ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ টিসিবির পন্য সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরন না করে অনিয়ম ও অবৈধভাবে মজুদের অভিযোগে বরিশাল নগরের এক টিসিবি ডিলার ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১৮ মার্চ) বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন বরিশাল নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাকাঠী এলাকার বাসিন্দা মোঃ সাইফুল ইসলাম। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হেলালউদ্দিন। তিনি বলেন, মামলার আসামীরা হলো কাশিপুর বাজারের টিসিবির ডিলার ও মেসার্স চৌধুরী স্টোরের প্রোপাইটর মোঃ হুমায়ুন কবির (৪৫) ও তার সহযোগী বরিশাল নগরের কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোড এলাকার মৃত শেখ মোকছেদ আলীর ছেলে শেখ মামুন মিয়া (৪২)। এর আগে শুক্রবার রাতে ডিলার পয়েন্টে টিসিবি ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা অভিযান করে। এ সময় তারা সুবিধাভোগীদের মাঝে পন্য বিক্রিতে অনিয়ম ও অবৈধভাবে মজুদের প্রমান পায়। বঞ্চিত সুবিধাভোগীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলে ডিলারের সহযোগি শেখ মামুন মিয়াকে পুলিশ আটক করে। এছাড়াও ডিলারের গুদাম তালাবদ্ধ করে স্থানীয় কাউন্সিলরের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে টিসিবির সহকারী পরিচালক শতদল সরকার জানিয়েছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ডিলার হুমায়ুন কবির  টিসিবি থেকে তার প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে ন্যায্যমূল্যের পণ্য সরবরাহ  করে জনসাধারনের মাঝে বিতরণ করে। গত ১৭ মার্চ দুপুরে কয়েকজন উপকারভোগী টিসিবি'র পন্য ন্যায্য মূল্যে ক্রয় করতে ডিলারের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে যায়। এসময় মরিয়ম বেগমসহ কয়েকজন উপকারভোগী তাদের কার্ড দিলে তা স্ক্যান করে অন্য কেউ নিয়ে গেছে বলে জানায় ডিলার হুমায়ুন কবির। এ নিয়ে টিসিবির ডিলারের সাথে কথাকাটাকাটি হলে স্খানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্টোরের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাতে বাধা দেয়া হয়।  পরবর্তীতে বিষয়টি বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসকে জানানো হলে তিনি টিসিবির সহকারী পরিচালককে খবর দেন।  একই সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে কাউন্সিলর সহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ডিলারের প্রতিষ্ঠানের সাটার খোলা হয়। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, হুমায়ুন কবিরের টিসিবি'র ডিলার পয়েন্টে সর্ব মোট সুবিধাভোগী ৬৮৮ জন। আর ডিজিটাল অ্যাপস মোতাবেক ৬২১ জন সুবিধাভোগীকে মালামাল সরবরাহ করেছেন তিনি। সেই হিসেব অনুযায়ী ডিলার পয়েন্টে টিসিবি'র ১৩৪ লিটার সয়াবিন তৈল, ১৩৪ কেজি ডাল, ৬৭ কেজি ছোলা, ৬৭ কেজি চিনি থাকার কথা থাকা।  তবে হুমায়ুন কবিরের ডিলার পয়েন্টে টিসিবি'র  ২৪৬ লিটার সয়াবিন তৈল, ২২৬ কেজি ডাল, ১২৯ কেজি ছোলা, ১০০ কেজি চিনি পাওয়া যায়। এছাড়া তাদের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ৭ লিটার সয়াবিন তৈল, ৪ কেজি চিনি পাওয়া যায়। লিখিত এজাহারে বলা হয়েছে, ডিলার ও তার সহযোগী টিসিবি'র পন্য সুবিধাভোগীদের নিকট ন্যায্য মূল্যে সরবরাহ না করে ডিলার পয়েন্টে মজুদ রেখে অবৈধ ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতারনা করে আত্মসাৎ করে। উল্লেখ্য, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্ বলেছেন ভবিষ্যতে কোনো অসাধু ডিলার এরকম কর্মকান্ড করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।