নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশি-বিদেশি এজেন্সি উন্মুখ হয়ে আছে: প্রধানমন্ত্রী
দেশ জনপদ ডেস্ক|২০:৩৭, মার্চ ১৩ ২০২৩ মিনিট
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অনেক আন্তর্জাতিক ও দেশীয় এজেন্সি উন্মুখ হয়ে আছে। ৪০ জনের নামে (ওয়াশিংটন পোস্টের বিজ্ঞাপন) যেটা এসেছে, ওটার পেছনেও কিছু অ্যাম্বিশন আছে। এতে কোনও সন্দেহ নেই। যাদের ইচ্ছা, তারা জনগণের কাছে যাবে। নির্বাচন যাতে অবাধ-সুষ্ঠু হয়, তার জন্য নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সংশোধনী বা সংস্কার আনা হয়েছে।
কাতারে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে গত ৪ থেকে ৮ মার্চ এই সফর করেন তিনি।
১৪ বছর আগের বাংলাদেশের অবস্থা চিন্তা করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের পর যে সন্ত্রাস, সংঘাত, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, সেটি যদি ভেবে দেখেন...। ২০০৬ সালের পর ভোটারবিহীন ভোটার তালিকা, ২০০৭-এর নির্বাচন…। এই ঘটনাগুলোর যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্যই আমরা এই সংস্কারগুলো করে দিয়েছি। এখন জনগণের ওপর নির্ভর করে যে তারা কীভাবে চায়? নির্বাচনের প্রস্তুতি আমাদের সবসময়ই আছে, জনগণ যেন ভোট দিতে পারে।’
সাম্প্রতিক উপনির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরেছে। তারা নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে গেছে। এই ভোটগুলো নিয়ে তো কেউ একটা কথাও বলতে পারেনি। সরকারে থাকলেও যে নির্বাচন সবসময় নির্বিঘ্ন হতে পারে, শান্তিপূর্ণ হতে পারে, অবাধ নিরপেক্ষ হতে পারে—সেটা তো আমরা প্রমাণ করেছি। আর কী প্রমাণ করতে হবে, সেটাই আমার প্রশ্ন।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে আমরা সংগ্রাম করেছি। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন জনগণের এটা হচ্ছে দায়িত্ব।’