ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও থ্রিহুইলারে অগ্নিসংযোগ, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি

কামরুন নাহার | ২১:২৯, মার্চ ০৫ ২০২৩ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীনগর ইউনিয়নের ঠাকুরমল্লিক গ্রামে শত্র“তামূলক মুদি দোকান ফাহিম স্টোর ও থ্রিহুইলারে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও থ্রিহুলারের মালিক কবিরাজ বাড়ির কামরুল হাসানের ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন কামরুল। তিনি জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ১ মার্চ রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে এবং প্রতিষ্ঠানের পাশে থ্রিহুইলার (আলফামাহেন্দ্র) রেখে বাড়িতে আসেন। রাত ১২টার দিকে কে বা কারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও থ্রিহুলারে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বাড়ির সকলে মিলে আগুনে নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যর্থ হন। এরই মধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি মালামাল, নগদ অর্থ এবং থ্রিহুইলারটি ভস্মীভূত হয়। এতে তার আয়ের একমাত্র পথটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন কামরুল। কামরুল অভিযোগ করেন তাদের বাড়ির সাথে পার্শ্ববর্তী প্যাদাবাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। ইতিপূর্বে রাতের আধারে প্যাদার বাড়ির লোকজন লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কবিরাজবাড়ির পিছনের পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের বাধা দিলে তারা ক্ষুব্ধ হয়। তাদের দাবি ওই পুকুরে তাদেরও জমি রয়েছে। ওই সময় তাদেরকে অবহিত করা হয় জমি থাকলে কাগজ নিয়ে এসে বসতে হবে। তাতে তাদের জমি থাকলে তা দিয়ে দেয়া হবে। এর বেশী কিছু বলা হয়নি। কামরুলের ধারনা প্যাদার বাড়ির লোকজন শত্রুতাবশতঃ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও থ্রিহুইলারে আগুন দিয়েছে। সে ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় গ্রামে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান হিমু জানান, বিষয়টি শোনার সাথে সাথে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এমনকি কামরুলের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাবুগঞ্জ ইউএনও নুসরাত ফাতিমা’র নিকট সাক্ষাত করিয়ে তার অবস্থা ব্যাখ্যা করা হলে তিনি আর্থিক সহযোগিতা করেন। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পুলিশকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও। বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খালিদ হোসেন স্বপন জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই তিনিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। কিন্তু শত্রুতামূলক এভাবে একজন মানুষকে পথে বসিয়ে দিয়ে কোন শত্রুতা হাসিল করা সঠিক পথ হতে পারে না। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনিও। একই সাথে কামরুলকে আর্থিক সহায়তা দেন এবং এর সাথে জড়িতদের খুজে বের করতে পুলিশকে সহায়তা করার আশ্বাস দেন স্বপন। এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরীর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুব্রত পাল জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।