ভোলা প্রতিবেদক ॥ ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ, যন্ত্রপাতি (এমএসআর) ক্রয়ের দরপত্রে মাত্র ৩ জন ঠিকাদার অংশ নিয়েছে। নিয়ম রক্ষার এই টেন্ডার প্রক্রিয়া মূলত একজনকে পেতে সহযোগিতা করেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী। অনেকটা গোপনীয়ভাবে দরপত্র আহবান করে গোপনেই নির্দিষ্ট ৩ জন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে ফরম বিক্রি করা হয়।
ওই ৩ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শনিবার দরপত্র বাক্সে ফেলা হয়। দুপুর ১টায় দরপত্র খোলা হলেও ৩ জন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। একজনকে ২ প্রতিষ্ঠানের দরপত্র গত শনিবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে বাক্সে ফেলতে দেখা যায়। ঢাকা থেকে এক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দুপুর ১২টার আগে দরপত্র বাক্সে ফেলে বাক্স খোলার আগেই চলে যান। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও টেন্ডার কমিটি দরপত্র বাক্স খুলে ৩ প্রতিষ্ঠানেরই দরপত্র পান।
জানা গেছে, নির্দিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বিগত বছরেও একই প্রক্রিয়ায় উক্ত এমএসআর এর টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়। মোট ৬টি গ্রুপে এই দরপত্র আহবান করা হয়। এর মধ্যে ওষুধ ক্রয়, যন্ত্রপাতী ক্রয়, লিলেন বা মশারী- বেডশিট ইত্যাদি ক্রয়, গজ ব্যান্ডিজ ও তুলা ক্রয়, ক্যামিকেল রিয়েজেন্ট ক্রয় এবং আসবাবপত্র ক্রয়। দরপত্রে অংশ নেওয়া ৩টি প্রতিষ্ঠান হলো মেসার্স সানফোর্স, মেসার্স জাকির ট্রেডার্স ও মেসার্স মডার্ন স্কয়ার।
আর জানা গেছে, ওষুধ সামগ্রী কেনার জন্য প্রায় ১৫ লাখ, যন্ত্রপাতি কেনার জন্য প্রায় ৯ লাখ, লিলেন সামগ্রী কেনার জন্য ৪ লাখ, গজ ব্যান্ডিজ ও তুলা কেনার জন্য ৪ লাখ এবং অন্যন্য সামগ্রী কেনার জন্য ১ থেকে দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। যদিও এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীর বেশিরভাগ ওষুধই ফার্মেসী থেকে ক্রয় করতে হয়। কেনলা থেকে শুরু করে মাইক্রোফোর টেপ, গজ ব্যান্ডেজও বেশিরভাগই কিনতে হয় বাইরের ফার্মেসী থেকে। প্যাথলজিতেও এক্সরে, আলট্রাসনোগ্রাম হয় না। অপারেশন থিয়েটার থাকলেও হয়না কোন অপারেশন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমান জানান, দরপত্রে আর কেউ অংশ নিতে পারেনি কেন সে বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। আমরা স্বচ্ছভাবে বাক্স খুলেছি এবং ৩ প্রতিষ্ঠানের দরপত্র পেয়েছি। আমাদের দেখার বিষয় নিয়মের মধ্যে আছে কি না।