‘সংসদকে ছোট করতে হিরো আলমকে বিএনপি দাঁড় করিয়েছে’

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:০৭, ফেব্রুয়ারি ০৪ ২০২৩ মিনিট

জাতীয় সংসদকে ‘ছোট করতে’ বগুড়ার উপনির্বাচনে হিরো আলমকে বিএনপি প্রার্থী করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে এক শান্তি সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি বলেন রাষ্ট্রতন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায়রে মায়া। হিরো আলমের জন্য এতো দরদ উঠলো ফখরুলের। ফখরুল ভেবেছিল হিরো আলম জিতে যাবে। হিরো আলমকে বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বী করেছে দাবি করে তিনি বলেন, হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। তারা তো নির্বাচন চায় নাই। হিরো আলমকে বিএনপি দাঁড় করিয়েছে। সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্ন ভঙ্গ। ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে। বিএনপি আন্দোলনের খেলায় হেরে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের উঁচু গলা নিচু হয়ে গেছে। কী খেলবো তাদের সঙ্গে? বিএনপিকে বলি, ঢাল নাই তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দারের সঙ্গে খেলতে চাই না। সেই রকম পার্টি দরকার, প্রতিপক্ষ দরকার। আন্দোলনের খেলায় তো পরাজিত হয়ে গেছেন। আর পারবেন না। আন্দোলনের বেলা চলে গেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে মোকাবিলা হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত। আপনারাও প্রস্তুত হোন। খালি মাঠে আমরা গোল দিতে চাই না। দুর্বল প্রতিপক্ষ চাই না। আসেন আপনারা। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে।

তারেক রহমান কোনও রাজনৈতিক নেতা নন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আপনাদের সন্ত্রাসী নেতাকে বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্ব খুঁজুন। কারণ আপনারা যাকে নেতা হিসেবে মানেন, সেই তারেক রহমান কোনও রাজনৈতিক নেতা নন। তার মধ্যে দুর্নীতি আর হত্যার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নাই। তিনি রাজনীতি করে আসেন নাই। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন। সে সন্ত্রাসী নেতা হতে পারে, জনগণের নেতা হতে পারে নাই। কাজে ওই নেতৃত্বকে বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্ব খুঁজুন। জনগণের কাছে যান। তাহলে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আসতে পারে। বিএনপি সংবিধান মানে না দাবি করে তিনি বলেন, তারা কোনও কিছু মানতে চায় না। বিএনপির নেতাদের বলে দিতে চাই, আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। ভোট বর্তমান সরকারের অধীনে হবে। নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন পরিচালনা করবে। আপনারা যদি গণতন্ত্রকে খোঁজার জন্য চেষ্টা করেন, তাহলে নির্বাচনে অংশ নিন। রাজপথকে উত্তপ্ত করে আপনারা কোনও ফায়দা হাসিল করতে পারবেন না। এদেশের জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে। শেখ হাসিনার যত দিন সরকারে আছেন, ততদিন বাংলাদেশে নৈরাজ্য করে কেউ পার পাবে না। অহেতুক রাজপথে গণতন্ত্র না খুঁজে, শাসনতন্ত্রের ভেতরে গণতন্ত্র খুঁজুন। সরকারে পতনের দাবিতে শনিবার পল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি। একই দিন কামরঙ্গীচরে শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। যদিও এটিকে পাল্টাপাল্টি বলতে রাজি নন ক্ষমতাসীনরা। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে বিএনপির কর্মসূচির দিন রাজধানীতে পৃথক কর্মসূচি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা দাবি করছে জনগণের জানমাল রক্ষায় তারা মাঠে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বিএনপির কোন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ। শান্তি সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।