বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে জাসদ প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান হিরো আলম। পরে রাতেই সংবাদ সম্মেলনে ১০ কেন্দ্রে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। গণমাধ্যমে এটি দেখার পর সিইসি ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো ভোটে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন বগুড়ার উপনির্বাচনের হেরে যাওয়া আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব না। ছয়-সাতটা আসনে যদি ফেয়ার নির্বাচন দিত, আমরা বুঝতাম এবার একটা ভালো নির্বাচন দিছে। এখানেও কারচুপি করেছে।’
বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন আশরাফুল আলম ( হিরো আলম )।
বগুড়ার দুটি আসনের ভোটের ফল নিয়ে হিরো আলম জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩৯টি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এরপরের ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাদ দিয়েই মোট ফলাফল একবারে দেয়া হয়। কেন্দ্রগুলোতে কত ভোট পেয়েছেন তা জানতে পারেননি তিনি। কিন্তু সবগুলো কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ করার দাবি তোলেন। পাশাপাশি এই ফলাফল খতিয়ে দেখার জন্য আগামী রোববার হাইকোর্টে রিট করা হবে জানান আলোচিত এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।
সর্বোচ্চ আদালতের রিটে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেলে কি করবেন এমন প্রশ্নে আলোচিত ইউটিউবার বলেন, ‘এ রকম পরিবেশ থাকলে, নির্বাচন করার আর দরকার নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে কারচুপি করে আমাকে হারিয়েছে। আমার মতো লোকের কাছে টক্কর দিয়ে হেরে যাবে, এটা তাদের জন্য লজ্জাজনক। এ জন্য আমার লোকের ভোটও ছিনিয়ে নেয় তারা।’
এদিকে বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে চতুর্থ হয়েছেন হিরো আলম।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, বগুড়া-৪ আসনের ভোটের ফলাফল হিরো আলম সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তিনি আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। তিনি মূলত আমাদের কাছে ভোটের ফলাফল জানতে এসেছেন। এ জন্য ফলাফল শিট তাকে প্রিন্ট করে দিয়েছি। তবে ভোটের ফলাফল সঠিক আছে। এখানে কোনো সমস্যা বা ভুল নেই বলে উল্লেখ করেন মাহমুদ হাসান।