ভোলার মেঘনায় ডাকাত আতঙ্ক: মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছেন ৩০ জেলে

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:২৮, জানুয়ারি ২৩ ২০২৩ মিনিট

ভোলা প্রতিবেদক : ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীতে জেলেদের মাঝে চলছে ডাকাত আতংকে। আর ডাকাতদের ভয়ে অনেক জেলে বর্তমানে নদীতে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। জেলেরা বলছেন, মাঝে মধ্যে সন্ধার পর থেকেই সংঘবদ্ধ ডাকাতরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে মাছ, ট্রলার ও জালসহ মুক্তিপনের জন্য জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে বাধ্য হয়ে ডাকাতদের বাদীকৃত মুক্তিপন দিয়ে অপহৃত জেলেদের ফিরে আনেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। চলতি শীত মৌসুমের শুরুতেই ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীতে হঠাৎ করেই ডাতাকদের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। মাঝে মধ্যে রাতে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্যরা জেলেদের মাছ ধরার ট্রলারে হামলা চালিয়ে ট্রলার, জাল, মাছসহ জেলেদের অপরহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর অপহৃত জেলেদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তাদের পরিবারের কাছে মুক্তির জন্য চাওয়া হয় মুক্তিপন। তবে প্রশাসনের কাছে বিষয়টি না জানানোর জন্য হুমকিও দেওয়া অপহৃত জেলেদের পরিবারকে। পরে বাধ্য হয়ে তাদের পরিবারের সদস্যকে মুক্তিপন দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনে ডাকাতদের কাছ থেকে। মুক্তিপনের মুক্ত অনেক জেলেকে তাদের পরিবারের সদস্য ভয়ে নদীতে মাছ শিকারে যেতে দেননা। আবার অনেক জেলে ডাকাতদের কাছ থেকে মুক্তি পেতে ধার-দেনা করে মুক্তিপণ দিয়ে চড়ম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। গত এক মাসে তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীতে পৃথক পৃথকভাবে ৩০জন জেলে অপহরণের পর মুক্তিপন দিয়ে মুক্তির ঘটনায় সব জেলেদের মাঝে চলছে ডাকাত আতংক। ডাকাতদের ভয়ে রাতে মাছ শিকার করতে সহস পাচ্ছেননা জেলেরা। আর দিনের বেলাও যেন তাদের আতংক ছাড়ছেনা। আর ভয়ে ও আতংকে অনেক জেলেই নদীতে মাছ শিকার করতে যাচ্ছেন না। এ অবস্থায় নদীতে পুলিশ ও কোস্টগার্ডে টহল দেওয়ার দাবী করেছেন জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এদিকে সাম্প্রতিকালে ভোলার মেঘনা নদীর দুর্ধর্ষ ডাকাত আবদুল্লাহ বাহিনী প্রধানসহ ৪ ডাকাতকে পিস্তল, তাজা গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে কোস্টগার্ড। তবে তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীতে জেলেরা যাতে নিরাপদে দিন ও রাতে মাছ শিকার করতে পারে সে জন্য টহল আরো জোরদার হয়েছে বলে দাবি করেছেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে: এম হাসান মেহেদী । ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় বেসরকারি হিসেবে প্রায় ৩০ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৭ হাজার ৫০৬ জন।