সিডর তান্ডব : কলাপাড়ার সাত হাজার পরিবারের এখনও ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস!

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:০৭, নভেম্বর ১৫ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥  আজ ১৫ নভেম্বর। সিডর তান্ডবের ১৫ বছর। প্রকৃতির বুলডোজার খ্যাত সুপার সাইক্লোন ঘুর্ণিঝড়ের ভয়াল তান্ডবের কথা সাগরপারের কলাপাড়ার মানুষ আজও ভোলেনি। তারপরও কলাপাড়ায় প্রায় সাত হাজার পরিবার বেড়িবাঁধের বাইরে ঝুপড়ি ঘরে ঝুঁকিতে বসবাস করছে। এছাড়া যাদেরকে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল তারও ৯৫ ভাগ ঘরের খবর নেই। বাড়ছে গৃহহারা পরিবারের সংখ্যা। ২০০৭ সালে সিডরের ভয়াল তান্ডবে কলাপাড়ায় সরকারি হিসাবে ৯৪ জন মানুষের প্রানহানি ঘটে। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা ১০৪ জন। আজও খোঁজ মেলেনি সাত জেলে ও এক শিশুর। সিডরের তান্ডবে কলাপাড়ায় সম্পুর্ণভাবে ঘর বিধ্বস্ত হয় ১২হাজার নয় শ’ পরিবারের। আংশিক বিধ্বস্ত হয় ১৪ হাজার নয় শ’ ২৫ পরিবারের ঘর। তিন হাজার দুই শ’ ২৫জেলে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিডরের কালো থাবায় শতকরা ৯০ পরিবার ক্ষতির শিকার হয়। এর মধ্যে ৫৪৭৩ টি পরিবারকে ঘর ণির্মাণ করে দেয়া হয়। ৫৪০ পরিবারের জন্য ব্যারাক হাউস নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে আট বছর আগে। কিন্তু এসব ব্যারাকের অন্তত ৪০০ কক্ষে লোকজন থাকছে না। ব্যারাক হাউসের চাল বেড়া খুটি চুরি হয়ে গেছে। সম্পুর্ণ বিধ্বস্ত আরও তিন সহ¯্রাধিক পরিবারের প্রয়োজন গৃহপুনর্বাসন। বসতঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়া ১২হাজার পাঁচ শ’ ১৬ পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে ক্ষতিপুরণ দেয়া হয়। এছাড়া তিন হাজার, আড়াই হাজার, দুই হাজার এবং এক হাজার টাকা করে আরও ছয় হাজার সাত শ’ পরিবারকে গৃহ নির্মাণে সহায়তা দেয়া হয়েছে। গৃহনির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সহায়তা দেয়া হয় অন্তত সাত হাজার পরিবারকে। তারপরও সম্পূর্ণ এবং আংশিক বিধ্বস্ত পাঁচ হাজার পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানান, এখনও বেড়িবাঁধের বাইরে কমপক্ষে সাত হাজার পরিবার ঝুকিপূর্ণ বসবাস করছেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়ায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩০ পরিবারকে গৃহপুনর্বাসন করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে এ উপজেলায় আরও ৭৬৩ হতদরিদ্র পরিবারকে গৃহপুনর্বাসনের আওতায় আনা হয়েছে।