গাছের মালিকানা নিয়ে বিপত্তিতে সড়কে যান চলাচলে ঝুঁকি

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৪০, নভেম্বর ১২ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ইন্দরকানী-পিরোজপুর সড়কের উপর নুয়ে পড়া গাছের কারণে যানবাহন চলাচল ঝুঁকির্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবুও গাছ কাটার কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো গাছের মালিকানা নিয়ে চলছে ঠেলাঠেলি। পিরোজপুরের কলারন-ইন্দুরকানী-পিরোজপুর সড়কের দু’পাশে বিভিন্ন স্থানে রাস্তার উপর বেশকিছু মোটা মোটা গাছ নুয়ে পড়েছে। এসব গাছের জন্য বড় বাস এবং পণ্যবোঝাই ট্রাক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। কোনো কোনো গাছ রাস্তার উপর এতটাই নুয়ে পড়েছে যে, বোঝাই ট্রাক এসব গাছের নীচ দিয়ে সহজে যেতে পারছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ সব গাছের সাথে ধাক্কা লেগে গাড়ি থেকে মালামাল পড়ে যাচ্ছে এবং গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। কখনো কখনো চলন্ত গাড়ি নুয়ে পড়া গাছের সাথে ধাক্কা এড়াতে গিয়ে রং সাইডে চলে যাচ্ছে এবং বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির সাথে দুর্ঘটনার ঝুকিতে পড়ছে। এ রকম কয়েকটি দুর্ঘটনায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য গাড়ি। পিরোজপুর থেকে টগড়া ফেরিঘাট সড়কের (১২ কিলোমিটার) দুই পাশের গাছের মালিকানা পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের। আর টগড়া ফেরিঘাট থেকে কলারন পর্যন্ত (১৮ কিলোমিটার) অংশের মালিকানা বন বিভাগের। সূত্র জানায়, সড়কের পিরোজপুর থেকে টগড়া ফেরিঘাট অংশের গাছের মালিকানা নিয়ে সড়ক ও জনপথের সাথে জেলা পরিষদের বিভেদ থাকায় এ এলাকার ঝুকিপূর্ণ গাছ অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেই। কলারন-পিরোজপুর রুটের বাসচালক লোকমান হোসেন জানান, কলারন থেকে পিরোজপুর পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্রায় অর্ধশত গাছ রাস্তার উপর নুয়ে পড়ে আছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এসব গাছের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে নিরাপত্তার স্বার্থে এ গাছগুলো কাটা জরুরি। ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম বলেন, উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় রেজুলেশন করে ঝুকিপূর্ণ গাছগুলোকে চিহ্নিত করে বন বিভাগের কাছে সেগুলো অপসারণের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। পিরোজপুর সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, গাছের মালিকানা বন বিভাগের। তারা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে। বন বিভাগের পিরোজপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজান রহমান বলেন, সকল গাছের মালিকানা বন বিভাগ নয়। বন বিভাগের মালিকানাধীন টগড়া ফেরিঘাট থেকে কলারন পর্যন্ত (১৮ কিলোমিটার)। এ অংশের রাস্তার দু’পাশের ঝুকিপূর্ণ গাছ চিহ্নিত করে সেগুলো অপসারণেরর কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।