শুক্রবার থেকে পটুয়াখালীর সব রুটে যাত্রীবাহি বাস চলাচল বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালী জেলার সব রুটে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে যাত্রীবাহি বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পটুয়াখালী জেলা বাস-মালিক সমিতি। ফলে অনিশ্চিয়তায় পরেছে হাজারও মানুষ।
বিএনপির দাবী আগামী ৫ নবেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলনে কর্মি-সমর্থকদের যোগদানে বাধাগ্রস্থ করতে পরিকল্পিত ভাবে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। অপর দিকে পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি ট্রলার চালকদের কাছ থেকে তাদের বাহনের চাবি নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা এ্যাড. মজিবর রহমান টোটন।
পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন (রিয়াজ মৃধা) জানান, মহা সড়কে টমটম, নসিমনসহ সকল অবৈধ যানবাহন চলাচলে মহামান্য হাইকোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেইনি। বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে তাদের সাথে সভা-মিটিংএ দাবী জানানো হয়। কিন্ত এ ব্যাপারে তারা অজ্ঞাত কারনে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে সড়কে প্রায়ই ঘটে দূর্ঘটনা। তাই বরিশাল বিভাগীয় পর্যায়ে সভা করে তারা এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। দাবী না মানা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে। তবে প্রশাসন যদি তাদের সাথে আলোচনায় বসে তাদের দাবীর ব্যাপারে সন্তোষজন সিদ্ধান্ত নেয় তবে সে ক্ষেত্রে তারা বিচেনা করবেন।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাড.মজিবুর রহমান টোটন যাত্রীবাহি বাসের এ ধর্মঘটকে দেখছেন তাদের ৫ নবেম্বরের কর্মসূচী বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে। তার দাবী বরিশালের মহা সমাবেশ বানচাল করতেই বুধবার রাতে পরিকল্পিত ভাবে জেলা যুবলীগের সভাপতির নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে অফিস পটুয়াখালী জেলা বিএনপি অফিস ভাংচুড় করা হয়। এ সময় অফিসে থাকা ব্যানার এবং ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হয়। এর আগে শহরের স্বনির্ভর সড়কে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শ্নেহাংশু সরকার কুট্টির ব্যবসায়িক কার্যালয়েও হামলা চালানো হয়। তিনি আরো জানান, বরিশাল সমাবেশে যাওয়ার জন্য তারা যে ট্রলার ভাড়া করেছেন, পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি সেই সব ট্রলার চালকদের কাছ থেকে তাদের বাহনের চাবি নিয়ে গেছে। শনিবার রাতে তাদের চাবি ফেরৎ দেয়া হবে বলে চালকদের জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি বলেন, এমন কোন বিষয় তাদের জানা নেই।