দেশের মানুষ যেন খাঁচায় বন্দি : জি এম কাদের

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৪৬, নভেম্বর ০১ ২০২২ মিনিট

রিপোর্ট দেশজনপদ ॥ ‘দেশের মানুষ যেন খাঁচায় বন্দি হয়ে আছে' বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে দেশের যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।’ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয় যুব সংহতি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এইচএম শাহরিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব ও জাতীয় পার্টির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি বলেন, ‘স্পিকারের আশ্বাসে সংসদে ফিরেছে জাতীয় পার্টি। বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচনের বিষয়ে স্পিকার সময় চেয়েছেন। সমাধান না হলে আমাদের হাতে বিকল্প অপশন আছে।’ তিনি বলেন, ‘বিভক্তি সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে।’ জি এম কাদের বলেন, ‘সোনার খাঁচায় বন্দি একটি পাখি কখনোই সুখী হতে পারে না। ঠিক তেমনই, অধিকার ছাড়া কোনো দেশের মানুষ ভালো থাকতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের কোনো অধিকার নেই। দেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দেশের মানুষ চায়, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ইচ্ছেমত কাউকে ক্ষমতায় বসাবেন। আবার, অপছন্দ হলে তাকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবেন। মানুষের ভোটাধিকার অকার্যকর করা হয়েছে। মানুষ প্রতিবাদ করতে পারছে না, বিক্ষোভ করতে পারছে না। দেশের গণমাধ্যমও অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছে করলেই, সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে পারছে না গণমাধ্যম। সাধারণ মানুষ হচ্ছেন দেশের মালিক। তাদের মালিকানা ছিনতাই হয়ে গেছে। দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে।’ এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, দেশে ৫ কোটি বেকার দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। বেকারদের নিয়ে সরকারের কোনো ভাবনা নেই। সরকারি দলের লোকেরা বেহেস্তে আছেন, তারা বেকারদের কষ্ট বোঝেন না। ব্যবসা, বিদ্যুৎ ও বিদুতের নামে ক্যাপাসিটি চার্জ দেখিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেছে। এ সময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, নাজমা আখতার এমপি, যুব নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. হেলাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, দ্বীন ইসলাম শেখ, শেখ সারোয়ার, শফিকুল ইসলাম দুলাল, নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া।