গলাচিপায় একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৪৩, অক্টোবর ১৯ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উত্তর ছোট চরকাজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক নেই। দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষক বিহীন অবস্থায় চলছে কার্যক্রম। কেবল একজন ডেপুটেশনকৃত প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যা অভিভাবকদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করছে। জানা গেছে, উত্তর ছোট চরকাজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। বিদ্যালয়ে প্রাক- প্রাথমিক শ্রেণিতে ১৩ জন , প্রথম শ্রেণিতে ১২ জন , দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১১ জন , তৃতীয় শ্রেণিতে ১৯ জন , চতুর্থ শ্রেণিতে ১২জন এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ১৫ জনসহ সর্বমোট ৮২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তিন কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ চারটি পদ রয়েছে। এরমধ্যে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম মিয়ার মৃত্যুজনিত কারণে পদটি শূন্য হয়। এছাড়া সহকারী শিক্ষক খাদিজা বেগম ও ইদ্রিস হাওলাদারের অবসরের পর এদুটি পদও শূন্য হয়। অপর একটি পদে বিজয় কৃষ্ণ মণ্ডল মামলাজনিত কারণে বিদ্যালয়টিতে নিয়োগ পাননি। বর্তমানে বিদ্যালয়ের একমাত্র শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ শীল (চলতি দায়িত্ব ) ২০২২ সালের ১৫ মার্চ যোগদান করেন। তার যোগদানের ফলে একজন শিক্ষক দিয়েই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। একাই বিদ্যালয়ের ছয়টি ক্লাস পরিচালনা করে আসছেন তিনি। শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ শীল জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসে কোনো ধরনের অফিসিয়াল কার্যক্রম থাকলে বিদ্যালয়ে ওইদিন পাঠদান বন্ধ থাকে। বিদ্যালয়টি দুই শিফটে চলে। প্রথম শিফটে প্রাক প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একই রুমে বসিয়ে পাঠদান করা হয়। আবার দ্বিতীয় শিফটেও তৃতীয় , চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একই রুমে বসিয়ে পাঠদান করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ফলপ্রসূ হচ্ছে না। একার পক্ষে এত কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি। ভুক্তভোগী শিক্ষক আরো জানান, তিনি ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল অবসরে যাবেন তিনি। ফলে শিক্ষক নিয়োগ না হলে আগামীতে স্কুলের ভাগ্যে কী ঘটবে তা জানা নেই। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাব্বির আহমেদ নোবেল জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও দুরাবস্থা কাটিয়ে উঠতে বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ অতিব জরুরি। গলাচিপা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর রেজাউল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হলেও শিক্ষকগণ সরকারি হননি। তাই শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি অধিদফতরের ডিজি মহোদয় অবগত আছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক জটিলতা দূর হলেই নশূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।