নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ইন্দুরকানীতে জনসন্মূখে দুর্নীতির টাকা ফেরত দিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক।
রোববার ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে জনসাধারণের সামনে তিনি এ টাকা ফেরত দেন। এ সংক্রন্ত একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
জানা গেছে, সেউতিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিনয় বরন হালদার কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর জন্মনিবন্ধন করিয়ে দেবার কথা বলে অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নেন। পরে একজন অভিভাবক ইন্দুরকানী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম তালুকদারের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দেন। রোববার পরিষদে উপস্থিত জনতার সামনে প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্র অভিভাবককে টাকা ফেরত দেন।
এর আগে ২০১৪ সালে ওই প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয়ের ছাত্রী আরিফা আক্তারের উপবৃত্তি এবং সালমা আক্তারের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরে তিনি ওই টাকা ফেরত দিয়েছেন মর্মে জানা গেছে।
তার সাবেক সহকর্মী সহকারী শিক্ষক বর্তমানে ঘোষেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার মুকুল জানান, প্রধান শিক্ষক বিনয় বরন হালদার ২০১৪ সালে তার বিদ্যালয়ের ছাত্রী আরিফা আক্তারের উপবৃত্তি এবং সালমা আক্তার সহ আরো একজন প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে এ নিয়ে অভিযোগ হলে তিনি ওই টাকা ফেরত দেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বিনয় বরন হালদারের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার’
প্রধান শিক্ষক বিনয় বরন হালদারের নামে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে অসদাচরণ এবং সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি বিভাগীয় মামলা চলমান আছে।
ইন্দুরকানী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম তালুকদার জানান, প্রধান শিক্ষক বিনয় বরন হালদার ভুল স্বীকার করে টাকা ফেরত দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত ভিডিও তার কাছে আছে।
ইন্দুরকানী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বিনয় বরন হালদারের নামে ছাত্র অভিভাবকের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন করার কথা বলে টাকা নেবার কথা শুনেছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। এ ছাড়াও তার নামে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে অসদাচরণ এবং সরকারি বরাদ্ধের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি বিভাগীয় মামলা চলমান আছে।