পিয়ন শাহাবুদ্দিনের ঘুষ বানিজ্যে দিশেহারা সাধারণ মানুষ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:৩১, অক্টোবর ১৬ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দাতা প্রতি কমপক্ষে একশত টাকা উৎকোচ না দিলে দলিলে সীলমোহর দিতে বিভিন্ন অজুহাতে সময় অতিবাহিত করার ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই ঘুষের টাকা দিতে হয় চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীকে। দাতাকে জিম্মি করে এ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ওপেন সিক্রেট বিষয়ে পরিনত হয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই অফিসে পরিচয় গোপন করে গিয়ে মাত্র ঘন্টার ব্যবধানে কয়েক হাজার টাকা উৎকোচ নেওয়ার গোপন ভিডিও ধারন করা হয়। অভিযোগ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, চরফ্যাশন সাব রেজিস্ট্রার অফিসের পিয়ন শাহাবুদ্দিন চাকুরীর সুবাদে জেনো আলাদীনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন। অফিসের সামান্য পিয়ন পদে চাকুরী করেও আলিশান বাড়ি, প্রাইভেট হাসপাতালের অংশীদারীত্ব,নামে বেনামে একাধিক গাড়ি বাড়ির মালিক বনে যাওয়া শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ মিলেছে। ওই অফিসে দলিল প্রদানের ক্ষেত্রে দাতা প্রতি দলিলে সীল দিতে শাহাবুদ্দিনকে কমপক্ষে একশত থেকে পাঁচশত টাকা উৎকোচ দিতে হয়। যা সে প্রকাশ্যই গ্রহন করেন। টাকা না দিলে দাতার টিপসই রাখতে গরিমসিসহ দলিলে সীল দিতে নানা তালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়েই তার দাবীকৃত অর্থ দিতে হয় বলেও নাম না প্রকাশ শর্তে অনেক দাতা অভিযোগ করেন। অফিসের অনান্য কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে শাহাবুদ্দিন এ ধরনের ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে আসছে বলে দাবী অন্য একটি সূত্রের। এ দিকে এমন অনিয়ম ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে আসলেও শাহাবুদ্দিনের হয়রানির ভয়ে দলিল সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীরা কোন কথা বলতেও সাহস পাননা। কেননা তার এ ধরনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কোন প্রকার কথা বললেই হয়রানির শিকার হতে হবে অভিযোগকারীদের বলে জানা যায়। এছাড়াও বারবার একই কর্মস্থলে থেকে সিন্ডিকেট তৈরি করে দূর থেকে এখানে আসা সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানির মুখে রেখে সে এ ধরনের অনিয়ম ঘুষ বানিজ্যসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তাছাড়া ঘুষ বানিজ্যর বদৌলতে একজন পিয়ন হয়েও সন্তানদের ঢাকায় আলিশান বাসায় রেখে নামীদামী প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করায় সুচতুর শাহাবুদ্দিন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিনকে প্রশ্ন করা হলে সে কোন সদুত্তর না দিয়ে এরিয়ে যান।