বরিশালে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি

কামরুন নাহার | ২১:২৬, এপ্রিল ১৬ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লক ডাউনের সুযোগে বাজারে প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধি। বরিশালে চাল, ভোজ্য তেল, পেয়াঁজ, রসুন আদা সহ অনেক নিত্যপন্যের দাম বাড়তে শুরু করায় নিম্নবিত্ত ও নিমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর দূর্দশা বেড়ে চলেছে। চালের দাম বেড়েছে গত ১০ দিনে প্রতি কেজিতে ৩-৪ টাকা পর্যন্ত। আদার কেজি ৩শ টাকার ওপরে। রসুন ১৬০ টাকা, পেয়াঁজ প্রতি কেজি বিক্রী হচ্ছে ৬০ টাকার ওপরে। গোল আলু বিক্রী হচ্ছে ২৫-২৮ টাকা কেজি দরে। যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রতি কেজিতে প্রায় ৮ টাকা বেশী। প্যাকেট লবন ৩৫ টাকা কেজি। সয়াবিন সহ ভোজ্য তেলের দামও প্রতি লিটারে ৫ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবী পরিবহন ব্যবস্থায় সংকট সহ সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় সরবারহ বিঘিœত হচ্ছে। তবে পণ্য সরবরাহে বড় সংকট না থাকলেও এক ধরনের অস্বস্তিতে বাজারে অনেক কিছুই এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে আমদানীকৃত কোন পেয়াঁজ নেই। দেশী পেয়াঁজই গ্রাম-গঞ্জে ৬৫ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। পাইকারী ৬০ টাকা কেজি। দেশী রসুন ১২০ টাকা হলেও চীনা রসুন ১৬০ টাকা কেজি। বাজারে দেশী কোন আদা নেই। চীনা আদা পাইকারী ৩শ টাকা কেজি বিক্রী হতে দেখা গেছে বৃহস্পতিবার। রমজানকে সামনে রেখে বরিশালে ইতোমধ্যে ছোলা বুট বিক্রী হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে। এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রনে রাষ্ট্রীয় বানিজ্য সংস্থা টিসিবি’র ভূমিকাও বরিশাল সহ আশপাশের জেলা উপজেলায় খুব জোরালো নয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নগরীতে ১০টি সহ জেলা সদরগুলোতে প্রায় ২৫টি ট্রাকে পণ্য বিক্রী চললেও প্রতিষ্ঠানটির কাছে কোন পেয়াঁজ নেই। শুধুমাত্র চিনি, মসুরডাল, ছোলা বুট আর ভোজ্য তেল বিক্রী করছে টিসিবি। তবে জেলা সদরের বাইরে টিসিবি’র পন্য বিক্রীর কোন কার্যক্রম এখনো এখনও চোখে পড়েনি।