আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে চার মাসে ১৫০ টন ইলিশ বিক্রি

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:২১, সেপ্টেম্বর ২৯ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে চার মাসে ১৫০ টন ইলিশ বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পরিচালক সাকিল আহম্মেদ জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত চারমাসে আলীপুর বিএফডিসি মার্কেটে ২০০ টন সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়েছে। যার ১৫০ টন ইলিশ ও ৫০ টন অন্যান্য মাছ। উদ্বোধনের পর আলীপুর বিএফডিসি মার্কেটে অপারেশনে আসি। এরমধ্যে আমরা মাত্র চারমাস মাছের মৌসুম পেয়েছি বাকি সময় নিষেধাজ্ঞায় কাটিয়েছি। সাকিল আহম্মেদ বলেন, সামনের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেক বেশি মাছ ধরা পরবে বলে আসা করছি। সে পর্যন্ত যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে আরও ২০০ টন মাছ ধরা পরবে। এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আলীপুর ও মহিপুরে দুটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। মহিপুর কেন্দ্রটি এখনও কার্যক্রম শুরু করতে না পরলেও উদ্বোধনের পরপরই অপারেশনে যায় আলীপুর মৎস্য অবতরণ। তবে সরকারের দেওয়া দুবার মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা ও বারবার বৈরি আবহাওয়ায় মাত্র চারমাস মাছ ধরার সুযোগ পেয়েছেন এখানকার জেলেরা। আলীপুর মধ্যে আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, মার্কেট চালুর এক বছর হলেও দুবার মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা ও একাধিকবার বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে কেটেছে আমাদের। প্রতিবন্ধকতা না থাকলে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়তো। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, ১৫০ টন ইলিশ তুলনামূলক ভাবে কম। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকতো তাহলে এ পরিমাণটা কয়েকগুণ হতে পারতো। তিনি আরও জানান, ২০২১ সালে কলাপাড়া উপজেলায় ৩৫ হাজার টন সামুদ্রিক মাছ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২২ হাজার টন ইলিশ। সরকারের দেওয়া ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় ইতোমধ্যে জেলেরা সুবিধা পেতে শুরু করেছে। তবে জেলেদের যে আবেদন তা নিয়েও সরকার ভাবছে। এ মৎস্য কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় ৩০ হাজার জেলে রয়েছে। এরমধ্যে ১৮ হাজার ৩০৮ জন নিবন্ধিত। নতুন নিবন্ধনের কাজ চলছে। আগামী এক বছরের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে।