শেখ হাসিনার জন্ম বলেই বাঙালি জাতির গৌরবের ইতিহাসের সৃষ্টি : নানক

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৪৬, সেপ্টেম্বর ২৮ ২০২২ মিনিট

রিপোর্ট দেশজনপদ ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, শেখ হাসিনার জন্ম বলেই বাঙালি জাতির মুক্তির শৃঙ্খলকে উজ্জীবিত করে আমাদের প্রগতির পদে পদে গৌরবের ইতিহাস রচনার যুগপৎ সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে 'শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ' কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই কথা বলেন তিনি। জাহাঙ্গীর নানক বলেন, শেখ হাসিনার জন্ম বলেই বাঙালি আঁধারেও বোধের দ্বিপশিখাকে জ্বাজ্জল্যমান প্রদীপ রূপে লালন করার সাহস পায়। যাকে মোট ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করে আজ হন্তারক গোষ্ঠী বিশ্রামের পাঁয়তারা খোঁজে, আর জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের সোপান বেয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের স্বপ্নের সিঁড়ির দিকে দুর্দণ্ডপ্রতাপে ধাবিত হয়। তিনি বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা, পিতৃহত্যার বদলা, দেশের মানুষের জ্বরা গ্লাণিকে সময়ের তাড়নায় এক চিলতে হাসিতে রূপান্তরের প্রত্যয় প্রবাদ নিয়ে এই বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যাই নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন সকল অশনি শক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। স্বৈরাচারী সরকার, সন্ত্রাসের ভয়াল করালগ্রাস, অগণতান্ত্রিক সামরিক পেটোয়া বাহিনী, দুষ্টের দৌরাত্ম্য সকল কিছুকে যিনি আলিঙ্গন করেছিলেন পিতা মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের নেপথ্যে দিগ্বিজয়ী সারস হয়ে। বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রীয় মৌলনীতিকে বাস্তবায়ন, দেশে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সাধন, জঙ্গীবাদ উৎখাতে অকুতোভয় দুঃসাহসী অভিযাত্রিক হিসেবে যিনি নিজের জাত চিনিয়ে বিশ্ববুকে নন্দিত হয়েছেন অপরাজেয় লৌহ মানবী হয়ে তিনিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মানুষ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায়, চিকিৎসা সেবায় অভূতপূর্ব বৈপ্লবিক সমৃদ্ধির সাক্ষী হয়, মাথাপিছু আয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখায়, শিক্ষায় সমৃদ্ধি পরিগনিত হয়, বাস্তুহারা মানুষেরা আবাসন পায়, দেশের অগ্রগতির প্রাকৃত স্বরূপ বিশ্বের দরবারে উন্মোচন হয় কেবলই দেশরত্ন শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনায়োকচিত নেতৃত্বের দূরদর্শিতা প্রেক্ষিতে। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের এই স্বপ্নই তো জাতির জনক তার জীবনে বাস্তবিক রূপায়নের সার্বিক রূপকল্পের কথা দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আজ তা সফলভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে বলেও যোগ করেন তিনি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানীমুখী শিল্পায়ন। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাক শিল্প, ঔষধ শিল্প, রপ্তানী আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহসহ আগামী ১০০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান গৃহীত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সেই পরাজিত শক্তি বিএনপি জামায়াত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা যায়, কিন্তু প্রতিরোধ করা যায় না। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলরা লাশের রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু বাংলার মাটিতে আর হত্যাযজ্ঞ চলতে দেওয়া হবে না। ষড়যন্ত্র হলে জনগণকে সাথে নিয়ে সেই খুনিদের রুখে দেওয়া হবে। সংগঠনের মহাসচিব কে এম শহিদু উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের মধ্যে ক্রীড়া উপকরণ বিতরণ করা হয়।