ভোল মাছটি নিয়ে বিপাকে জেলে

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৪৬, সেপ্টেম্বর ২৮ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সাগরে ইলিশ শিকারের উদ্দেশে গিয়ে জালে আটকে পড়া দুষ্প্রাপ্য ভোল মাছটি এখনো বিক্রি করেননি ট্রলারের মালিক বাদল মাঝি। বাজার যাচাই করে প্রত্যাশিত দাম কমিয়ে আনলেও সেটিও দিতে চাইছেন না ক্রেতারা। এখন পর্যন্ত স্থানীয় কয়েকজন আড়াই লাখ টাকা দাম বলেছেন। তবে দাম নির্দিষ্টভাবে না জানালেও অন্তত ১৫ থেকে ২০ লাখ হলে মাছটি বেচে দেবেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। আজ বুধবার সকালে পিরোজপুর সদর উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্যবন্দরের বাজারে মাছটি বিক্রির জন্য তোলা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাছসহ ট্রলারটি ঘাটে আসে। এর পর থেকেই মাছটি বিক্রির চেষ্টা করেন ট্রলারের মালিক বাদল মাঝি। সরেজমিনে দেখা যায়, পাড়েরহাট মৎস্যবন্দরের বাজারে ৩২ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের ভোল মাছটি বরফ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। বরফ দেওয়ার পর থেকে মাছটির রং সোনালী হতে শুরু করেছে। স্থানীয় জেলে মাছটি ‘সোনালি হাইতি ভোল’ বলে ধারণা করছেন। সে অনুযায়ী বেশ কয়েকজন জেলে মাছটির দাম ১৫ থেকে ২৭ লাখ টাকা হতে পারে বলে মন্তব্য করছেন। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন মাছটির দাম দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বলছেন। কিন্তু এই দামে মাছটি বিক্রি করবেন না বাদল মাঝি। প্রায় ৩৩ কেজির ভোল মাছ, ৩ কোটি টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন জেলেপ্রায় ৩৩ কেজির ভোল মাছ, ৩ কোটি টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন জেলে ট্রলারে থাকা মাঝি কবির হোসেন বলেন, ‘সোনালি হাইতি ভোল মাছটি গভীর সাগরে পাই আমরা। শুনেছি এটি অনেক মূল্যবান মাছ। দুষ্প্রাপ্য সোনালি হাইতি ভোল মাছটি ওপেনে ডাকে তুলে বিক্রি করতে চাই। মাছটির ন্যায্যমূল্য পেতে চাই। ধারণা করতেছি, মাছটির মূল্য অর্ধকোটি টাকা বা তার বেশিও হতে পারে।’ স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘সোনালি হাইতি ভোল মাছটি বিরল প্রজাতির মাছ। এই মাছ সহজে পাওয়া যায় না। আমাদের এখানকার জেলেরা আগে কখনো এই মাছ ধরেনি। এটি খুবই মূল্যবান একটি মাছ। জেলেরা অনেক কষ্ট করেছে মাছটি নিয়ে। আমরা চাই, বাদল মাঝিসহ অন্য জেলেরা মাছটি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করুক।’ দক্ষিণ উপকূলীয় মৎস্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘মাছটি বিরল প্রজাতির হাইতি ভোল মাছ। আমি চট্টগ্রামে জেলে ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, মাছটি যদি সোনালি হাইতি ভোল হয়ে থাকে, তবে এর দাম ১৫ থেকে ২৭ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সকাল থেকে মাছটি বাজারে তোলা হয়েছে। সবাই এসে বোটের মধ্যেই মাছটি দেখছে, দামাদামি করছে। তবে ক্রেতাদের বলা দাম বিক্রেতার পছন্দ হচ্ছে না। তাই মাছটি বরফ দিয়ে এখনো ট্রলারে রাখা হয়েছে।’ এ বিষয়ে বাদল মাঝি বলেন, ‘আমার অনেক টাকার ঋণ আছে। এই মাছটা দুষ্প্রাপ্য এবং অনেক গুণসম্পন্ন। মাছটার একটা মানানসই দাম পেলে বেচে দেব।’ সেই মানানসই দাম কত জানতে চাইলে, অন্তত ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা বলে মন্তব্য করেন তিনি।