নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়েত সন্ত্রাসী কার্যকান্ডে মেতে ওঠে: আফজাল হোসেন

কামরুন নাহার | ১৯:৫১, সেপ্টেম্বর ২৮ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ স্বাধীনতার কোন অপশক্তিকে বাংলাদেশের ক্ষমতা আনা যাবে না। বিএনপি জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে, সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় যেতে চায়। তারা পাকিস্তানী পেতত্মা। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে। তার নেতৃত্বে আপনারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। এই এলাকার অনেক মানুষ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন সোনার বাংলা গড়তে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরালসভাবে করে কাজ করেছেন। তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পরে বরগুনার বেতাগী পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একথা বলেছেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্হী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। তিনি আরো বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জামায়েত নৈরাজ্য সৃষ্টি করে মানুষ হত্যা করেছে। চাঁদে সাঈদীকে দেখা যায়, এ অপবাদ দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। তারা রাস্তায় বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করল। তারা ধর্মপ্রাণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করল। নির্বাচন এলেই তারা এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ ভুল বুঝিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। এক কথায় বিএনপি-জামায়েত যখন নির্বাচন আসে তখন তারা ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নৈরাজ্য করে। যারা নৈরাজ্য করে, সন্ত্রাস করে, এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বাষিক সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবিরের সভপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান ফোরকানের সঞ্চালনায়, উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি, প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির।এছাড়া আলোচনা সময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মো. আনিচুর রহমান ও গোলাম রাব্বানী চিনু, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য নাদিরা সুলতানা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৩ সালে বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দুই বছর ২০১৫ সালে আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবিরকে সভাপতি ও মাকসুদুর রহমান ফোরকানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে একটানা ৭ বছর কাটিয়ে দেন। সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবির এর প্রতিদ্বন্দ্বী কোন প্রার্থী অংশ না নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবিরকে পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান ফোরকানকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সভাপতি প্রতিদ্বন্দ্বী কোন প্রার্থী না থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম পিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বেতাগী সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত হুমায়ুন কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল সিকদার, বেতাগী সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির খলিফা ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মশিউর রহমান পাভেলসহ ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে দলীয় পদ না পেলেও বঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ নেই। বরং পদ বঞ্চিতরা নতুন কমিটিকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মশিউর রহমান পাভেল বলেন, পদ না পেলেও দলের সংগঠনের স্বার্থে আমার ক্ষোভ নেই। নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানাই। ‘ এবিষয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা মতামত প্রকাশ করতে ভালো হতো। দলের ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা দরকার। ‘