বরিশালে লকডাউন থাকলেও রাস্তায় জনসমাগম

কামরুন নাহার | ২১:১১, এপ্রিল ১৫ ২০২০ মিনিট

করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে বরিশাল জেলায় লকডাউনের তৃতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী এই সময়ে সাধারণ মানুষের ঘরে অবস্থানের কথা থাকলেও বরিশালের চিত্র ভিন্ন। বুধবারও বরিশালের রাস্তায় বিপুল সংখ্যক মানুষ দেখা গেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ির মধ্যেও অনেক মানুষ বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা এবং ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে বাইরে বের হয়েছেন। কেউ জরুরি প্রয়োজনে, কেউ বাজার করতে, অনেকে আবার বাইরে বের হয়েছেন নানা অজুহাতে। নগরীসহ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করে বিভিন্ন যানবাহন আটকে দিচ্ছে। অপ্রয়োজনে যারা বের হয়েছেন তাদের বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠাচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ওষুধ এবং মুদি দোকান ব্যতিত অন্যান্য দোকান খোলা রাখতে জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেক স্থানেই অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে। এ কারণে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও অসাধু দোকানিরা সুযোগ পেলেই দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করছে। এদিকে করোনার বিস্তার ঠেকাতে বরিশালের অনেক বাজার খোলা জায়গায় স্থানান্তর করা হলেও বরিশালের পোর্ট রোডের প্রধান ইলিশ মোকামের চিত্র আছে আগের মতোই। প্রতিদিন সকালে হাজারো মানুষের ভিড় হয় পোর্ট রোডের ইলিশ আড়তে। আড়তদার, পাইকার, খুচরা ব্যবসায়ী এবং ক্রেতার পদভারে আগের মতোই মুখরিত হয়ে ওঠে বরিশালের পোর্ট রোডের ইলিশ বাজার। তবে জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেছেন, অনেকেই লকডাউন মেনে চলছেন। কিছু মানুষ প্রয়োজনে এবং নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। তাদের বুঝিয়ে ঘরে রাখার চেষ্টা চলছে। পোর্ট রোডের ইলিশ মোকামসহ অন্যান্য বাজারগুলোও খোলা জায়গায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জেলা প্রশাসক জানান। গত রবিবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো ২ জন করোনা রোগী সনাক্ত হওায় ওইদিন রাত থেকেই নগরীসহ পুরো জেলা লকডাউন ঘোষনা করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারী করে জেলা প্রশাসন। সবশেষ হিসেব অনুযায়ী বুধবার শের-ই বাংলা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন সন্দেহভাজন ৯ জন রোগী। এর মধ্যে ৫ জন রোগীর দেহে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সব শেষ খবর অনুযায়ী এই ৫ জনসহ বুধবার দুপুর পর্যন্ত বরিশাল জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ জন। সূএ বাংলাদেশ প্রতিদিন