সড়ক দুর্ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:৫৯, সেপ্টেম্বর ২৩ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আলতাফ হাওলাদার নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের বদরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তার। মৃত আলতাফ হাওলাদার দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আদম আলী হাওলাদারের ছেলে। এদিন সকাল ১১টায় পটুয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদপত্র ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পটুয়াখালী আসেন আলতাফ হাওলাদার। ওই অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ি দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ফেরার পথে বদরপুর বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল চালক ওহিদুল আলমকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। মৃত আলতাফ হাওলাদারের ছেলে মো. কাওসার হাওলাদার জানান, তার বাবা দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড আনতে বাড়ি থেকে শহরের উদ্দেশ্যে যান। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। সুরতহাল শেষে তার লাশ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। শুক্রবার সকালে তার লাশ দাফন করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা অতুল চন্দ্র দাস বলেন, আলতাফ হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সকালে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে। কুশল বিনিময় শেষে একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেই এবং সনদ ও কার্ড গ্রহণ করি। সন্ধ্যায় তার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে খুব কষ্ট পেয়েছি। এমন দুর্ঘটনা রোধে সড়কে শৃঙ্খলা আনা দরকার। পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মোটরসাইকেল ও চালকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের মরদেহ বাড়ি পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-ইমরান জনান, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে শুক্রবার সকালে নিহত মুক্তিযোদ্ধার লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হাওলাদার মৌকরন বিএলপি ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও ছয় সন্তানসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।