আগৈলঝাড়া হাসপাতালের উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:১৪, সেপ্টেম্বর ২১ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের যোগসাজসে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোটি টাকার উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে চলতি বছরের জুন মাসে হাসপাতালের আবাসিক ভবন, চলাচলের রাস্তা, পুকুরের গাইড ওয়াল, সীমানা প্রাচীর নির্মানসহ বিভিন্ন সংস্কার কাজের জন্য প্রায় এক কোটি টাকার দরপত্র আহবান করা হয়। এরমধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুকুরে পাইলিং বাবদ ৩৩ লাখ টাকা, রাস্তা সংস্কার বাবদ ১৬ লাখ টাকা, আবাসিক ভবনের ছাদ সংস্কার বাবদ ২৬ লাখ টাকা এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণ বাবদ ১৬ লাখ টাকা সহ প্রায় কোটি বরাদ্দ করা হয়। দরপত্রে বরিশালের সোহেল মিয়া নামের এক ঠিকাদার কার্যাদেশ পেয়ে জুলাই মাস থেকে উন্নয়ন কাজ শুরু করেন। কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদার সোহেল মিয়া ব্যাপক অনিয়ম শুরু করেন। পুকুরের গাইড ওয়ালে পাথর দিয়ে স্লাব বানানোর কথা থাকলেও পাথরের সাথে ইটের খোয়া ব্যবহার করেছেন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আবাসিক চারটি ভবনের একটিতে রড ছাড়াই ছাদ ঢালাই দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পারলে অন্য তিনটি ভবনের ছাদে রড ব্যবহার করতে বাধ্য হয় ঠিকাদার। অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের সামনের বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে পুরনো ইট দিয়েই নতুন করে ওয়াল নির্মান করে আসছে ঠিকাদার। এমনকি পুরানো ঢালাই পিলার সম্পূর্ণ না ভেঙ্গে ওই পিলারের অংশ ভেঙ্গে সেই পিলারের রডের সাথেই ঢালাই সম্পন্ন করে ঠিকাদার সোহেল। নির্মান কাজে পুরাতন মরিচা ধরা রড ব্যবহার করার অভিযোগ করা হয়। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর সহযোগীতায় ঠিকাদার সোহেল হাসপাতালের উন্নয়ন কাজে একের পর এক অনিয়ম করে যা”েছন বলে অভিযোগ করেন ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন। এমনকি নিম্নমানের কাজে বাঁধা প্রদান করেলেও বাঁধা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে ঠিকাদার সোহেল মিয়ার (০১৭১৭৮৬৭১৮৬) নম্বরে ফোন দেয়া হলে তিনি কোন তথ্য না দিয়ে ফোন কেটে দেন। প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, তার অনুপস্থিতিতে একটি ভবনে রড ছাড়াই ঢালাই দেয়া হয়েছিলো। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি সাইট পরিদর্শন করে সকল অনিয়মগুলোর সমাধান করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয়ার ঢালাই দেয়া হলে তা ভেঙ্গে দেখে ওই কাজের বিল আটকে দেয়া হবে।