সাবেক কাউন্সিলর রুপার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কালু

কামরুন নাহার | ২৩:৪২, নভেম্বর ২১ ২০১৯ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশালের সংরক্ষিত কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপা লঞ্চের টিকেট মাস্টার সাইমুন আহমেদ কালুর বিরুদ্ধে ১কোটি ৬৫লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে। নগরের ১৬,১৭,১৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ১৬ নং ওয়ার্ডের ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার মোঃ বাদশা আমানউল্লাহর মেয়ে রুপা। সাইমুন আহমদ কালু নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের ফরেস্টার বাড়ির বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুর রহমান এর ছেলে। গত কয়েকদিন কাউন্সিলর রূপা বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন লঞ্চের টিকেট মাস্টার সাইমুন আহমেদ কালু কে ব্যবসায়িক সূত্রে বিভিন্ন সময় আর্থিক সহায়তা করেন তিনি। সে আমার টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে এবং টাকা চাইতে গেলে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে। এই মর্মে তিনি অভিযোগ করেছেন। সাইমুন আহমদ কালুর সাথে কথা হলে তনি বলেন এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব। সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে আমি তাকে চিনি তাই শ্রদ্ধার সাথে যে কোনো কাজ করে দিয়েছি, এটাই ছিলো আমার সবচেয়ে বড় ভুল। আমার শ্রদ্ধা সম্মান কে দুর্বলতা ভেবে একসময় আমার দেওয়া টাকা ঋণ পরিশোধ না করে আরো টাকা নেওয়ার জন্য চাইলে আমি দিতে রাজি হয়নি। এরপর থেকে কাউন্সিলর রূপা লঞ্চের ভিআইপি সিট বুকিং করে ভাড়া ছাড়া যাতায়াত শুরু করেন। এই থেকে তার সাথে আমার দুরত্ব শুরু হয়। একদিন রূপা শহরের একটি হোটেলে আসার জন্য আমাকে অনুরোধ করলে আমি আসলেই আমাকে কয়েকজন লোক ঘেরাও করে ভিডিও করার প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসি, রূপার নেতৃত্বের এহেন অপকর্মের হুমকিতে লঞ্চের চাকরি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি । রূপা প্রেমের মহান সাগর। তাঁর প্রেমে জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মহলের লোকজন রয়েছে, কারনে অকারনে তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে। ভয়ংকর রূপা নিজের রূপের ফাঁদে অনেককে নির্যাতনের শিকার করে কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ তারা। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায় অন্তত ১০ বছর পূর্বে নগরীর ভাটিখানা এলাকার এক প্রবাসীর সাথে বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রথম বিয়ের পিড়িতে বসেন তিনি। তার সকল অর্থ আত্মসাৎ করে সেও নির্যাতিত হয়ে সংসার ত্যাগ করে। বর্তমানে তিনি তৃতীয় স্বামীর সংসার রয়েছেন। রূপার এহেন অপকর্মের কারণে পুরো এলাকা ক্ষিপ্ত রয়েছে। আমেরিকা প্রবাসী লিটন বলেন কৌশল অবলম্বন করে রূপার খপ্পর থেকে সরে আসছি, না হয় আলোচনা সামালোচনায় পড়তে হতো আমায়। এমন অভিযোগ অনেক রয়েছে তার বিরুদ্ধে । বিদেশি ও সম্পদশলীদের অর্থ আত্মসাতের ধান্দা নিয়ে-ই ব্যস্ত থাকেন তিনি। সাইমুন আহমদ কালুর উপর অভিযোগের বিষয় মোবাইল ফোনে স্বীকার করেন কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপা। বিস্তারিত জানতে চাইলে ব্যস্ততার অজুহাতে ফোন কেটে দেন তিনি । স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায় সাইমুন আহমদ কালু ভয়ে স্ত্রী বাচ্চাদের শশুর বাড়িতে পাঠিয়ে এখন দিশেহারা ও নিরাপত্তাহীনতায় বিরাজ করছেছন এবং শহরের বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের কে দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে রপা। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম(পিপিএম) বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।