প্রতারকদের খপ্পড়ে হিজলার ভিশন কেয়ার হাসপাতাল

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:২২, সেপ্টেম্বর ১৯ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভিশন কেয়ার হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টি সেন্টার হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড হাসপাতাল যেটি ̄স্থপিত হয় ২০২১ সালের ৯ই এপ্রিল, করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে অনেকট প্রতিকুলতার মধ্যে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহ আলম রিয়াদ এই হসপিটালটি প্রতিষ্ঠা করেন। শাহ আলম রিয়াদ আন্তর্জাতিক ইউনেস্কোর সদস্য হওয়ার তাকে প্রায়ই দেশের বাহিরে যেতে হয় এবং তার ঢাকা বেশ কটি ̄স্কুল ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান থাকায় তাকে ঢাকাতেই থাকতে হয়, এই সুযোগে হিজলায় একটি চিহ্নিত প্রতারক চক্র রফিক সরদার, জাহাঙ্গীর হোসেন ও সামু চৌধুরী এরা ৩ জনই সক্রিয় জামাতের রাজনীতির সাথে যুক্ত এরা সু-কৌশলে হাসপাতালের দেখা শুনার নাম করে আসা যাওয়া করতে থাকে এবং মালিকের অনুপি ̄’তিতে তারা কিছু ঔষধ ও কিছু ছোট ছোট জিনিসপত্র কিনে এবং কিছু প্রচার সামগ্রী দিয়ে হাসপাতালের মালিকানা দাবি করে এবং শাহ আলম রিয়াদ যখন হাসপাতালে না থাকে তখন রফিক সরদার ও তার দুই ভাই হাসপাতালে এসে নারী কর্মীদের সাথে অসভ্য আচরন করে যাহা মালিকের নিকট হাসপাতাল কর্মীগণ জানান এবং মালিক রফিক সরদারকে জিজ্ঞাসা করলে রফিক ক্ষিপ্ত হয় এবং বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী এনে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ মালিকের উপর চড়াও হয় ও গায়ে হাত তোলে, এ বিষয় স্থানীয় লোকজনদের অবহিত করলে রফিক সরদার, জাহাঙ্গীর হোসেন ও সামু চৌধুরী প্রায় ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ের দাবি করে হাসপাতালের আংশিক মালিকানা দাবি করে, যে ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা খরচের কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ তারা দেখাতে পারে না, যার কারণে এ বিষয়ে স্থানীয় মুরুব্বীগণ কোন সমাধান দিতে পারেনি, পরবর্তীতে মালিক শাহ আলম রিয়াদ বিষয়টি হিজলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এবং জানতে পারেন এই চক্রটির নামে পূর্বে এই ধরনের প্রায় ৫ থেকে ৭টি মামলা রয়েছে যার সবকটি এখনো চলমান এর মধ্যে ২টি মামলায় তারা জেল খেটেছে, এর মধ্যে একটি মামলা রয়েছে দুদকে যার ̄স্মারক নং-বিকা- বরিশাল-৬৮১, তাং-২১.০৪.২০১৬, অপর একটি মামলা হাইকোর্টে চলমান যার নম্বর সি আর-১০২/২০১৬ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ এদের কাজই হচ্ছে সাধারণ মানুষের ব্যবসা জায়গা-জমি জোর পূর্বক অথবা সু-কৌশলে দখল করা। পূর্বেও এই চক্রটির নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে যাহা হিজলার বহু সাধারণ মানুষ এদের খপ্পড়ে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে ভিশন কেয়ার হাসপাতালের মালিক শাহ আলম রিয়াদ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে একজন সাংস্কৃতিক কর্মী হওয়া সত্বেও চিহ্নিত জামায়াত ইসলামের সদস্য রফিক সরদার, জাহাঙ্গীর হোসেন ও সামু চৌধুরী কিভাবে জোর পূর্বক তার হাসপাতাল দখল নিতে চায় এটি একটি মারাত্মক ঘৃনিত অপরাধ এর প্রতিকার হওয়া খুবই জরুরী ও এই চিহ্নিত জামায়াত সদস্যদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন নয়তোবা তারা নিয়মিত এই ধরনের প্রতারনার কাজ চালিয়ে যেতে থাকবে।