গোপনে অফিস ফাইলের ব্যক্তিগত নথি পরিবর্তন, কর্মকর্তাকে শোকজ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৪৭, সেপ্টেম্বর ১১ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে অফিস ফাইল ঘাটাঘাটি করে চাকরিকালীন সময়ের নথিপত্র পাল্টে দেয়ার অভিযোগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবুল কালামকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. মুহসিন উদ্দীন সাক্ষরিত এক চিঠিতে এই কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এতে বলা হয়, পিএ টু রেজিস্ট্রার কক্ষে কেউ না থাকা অবস্থায় প্রবেশ করে আবুল কালাম ওই কক্ষের টেবিলে সংরক্ষিত তার ব্যক্তিগত (অফিস ফাইল) নথিপত্র ঘাটাঘাটি করেছে। ওই নথিতে সংরক্ষিত আবুল কালামের ২৪ এপ্রিল, ২০১৩ ইং তারিখের চাকরির আবেদনপত্রের প্রথম অংশ ছিড়ে ফেলেন তিনি। তদস্থলে তিনি অন্য একটি পৃষ্ঠা যুক্ত করেন। ওই পৃষ্ঠায় তৎকালীন উপাচার্যের হাতের লেখা নকল করে 'ওকে, সিলেক্টেড' শব্দদ্বয় লেখেন এবং একই সাথে ওই পৃষ্ঠায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে মূল আবেদনের তথ্য পরিবর্তন করেন তিনি। এই সকল শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জন্য সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ অনুসারে কেন অভিযুক্ত আবুল কালামের বিরুদ্ধে গুরুদণ্ড আরোপ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে কারণ দর্শনো নোটিশে। নোটিশ পাওয়ার পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কাছে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, চুরি করে অফিস ফাইলে চাকরিকালীন আবেদন পরিবর্তনের ঘটনায় সংস্থাপন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও জড়িত। কিন্তু দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ে মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. সোলায়মান খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটু ছুটিতে আছি। আপনি রেজিস্ট্রারের সাথে যোগাযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. মুহসিন উদ্দীন মুঠোফোনে বলেন, এই ব্যক্তিগত নথি তার দপ্তর সহ ৫টি দপ্তরে যেতে পারে। যখন কারো অনুপস্থিতিতে সেই অফিসে ঢুকে ফাইল ঘাটাঘাটি করা হয় তখন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই ঘটনায় জড়িত থাকে কিনা তা বোঝা মুশকিল। অভিযুক্তকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তার উত্তর সন্তোষজনক হলে বিষয়টি এখানেই শেষ। তবে তার উত্তর সন্তোষজনক না হলে তখন বিষয়টি গভীরভাবে তদন্তের জন্য কমিটি করা হবে। সেই কমিটি তদন্ত করে দেখবে কে বা কারা এই জালিয়াতির সাথে জড়িত। যিনি বা যাদের বিরুদ্ধে এই শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের সাথে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।