বিএনপির ৩০০ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে কৃষক লীগ নেতার মামলা, গ্রেপ্তার ৩

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:২৩, সেপ্টেম্বর ১০ ২০২২ মিনিট

রিপোর্ট দেশজনপদ ॥  পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনিপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে করা মামলায় বিএনপির ৩০০ নেতা–কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি আসামিরা অজ্ঞাতনামা। এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতে মামলার পর পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক, উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব মো. শহিদুল ইসলাম খান ও জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম। মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম খানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দলীয় কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করল। সমাবেশে আসার পথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হলো। অথচ উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হলো।’ মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে গেলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আহত হন। হামলায় আহত আওয়ামী লীগের ছয়জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। মামলার প্রধান আসামি নজরুল ইসলাম খান সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি। মামলার আসামিরা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা ও কর্মী। পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীদের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপজেলার সাতকাছিমা, কালীবাড়ি মোড়, কলেজ মোড় ও হাসপাতালের সামনের সড়কে বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর বিকেল চারটার দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এবং সমাবেশ শেষে সাড়ে পাঁচটার দিকে থানার সামনের সড়কে দুই দফা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় দলের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।