প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে কী এনেছেন, প্রশ্ন ফখরুলের

কামরুন নাহার | ১৯:২৫, সেপ্টেম্বর ১০ ২০২২ মিনিট

রিপোর্ট দেশজনপদ ॥ ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় থাকার জন্যই ভারত সফরে গিয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গেলেন ভারতবর্ষে। একটামাত্র আশায় যে, ভারতে গিয়ে আবার কিভাবে ক্ষমতায় থাকা যায় তার জন্যে একটা ব্যবস্থা করে আসবেন। কী এনেছেন? কিছুই না। আমরা পরিষ্কার করে বলছি, কী এনেছেন? ১৫৩ কিউসেক পানির কথা বলেছেন। এ ছাড়া তো কিছুই দেখছি না। যেদিন সমঝোতা স্মারক সই হয় সেই দিনই সীমান্তে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বাংলাদেশি একজন ১৪ বছরের বালককে। আরও দুইজন নিখোঁজ আছে। এটা অহরহ ঘটছে। সেটা (সীমান্ত হত্যা) কিন্তু এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি।’ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘ইতি প্রকাশন’ এর উদ্যোগে ‘রাজনীতি : পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভা হয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক হোক- এটা আমরা সবাই চাই। ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে আমরা তার জন্য কৃতজ্ঞ। আপনারা (আওয়ামী লীগ সরকার) তো বলতে থাকেন যে, এমন পর্যায় আপনাদের সম্পর্ক গেছে, সেই সম্পর্কটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। যেটা আপনাদের মন্ত্রী বলেছেন। মানুষকে প্রতারিত করে এবং মানুষকে পুরোপুরিভাবে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না, একটা জাতির নির্মাণ হতে পারে না।’ হাওড়ে উড়াল সেতুর প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুক্রবার দেখলাম হাওড়ের ওপর দিয়ে উড়াল সেতু নির্মাণ করবে। সেখানে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বাজেট দিয়েছে। সেটা পৌঁছাবে ২৬ হাজার কোটি টাকায় এবং এটার প্রয়োজন আছে কি না, কতগুলো গাড়ি চলবে, ওখানে কী প্রয়োজন আছে তার সম্পর্কে কোনো কথা নেই। আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই সব মেগা প্রজেক্ট, অপ্রয়োজনীয় প্রজেক্ট নিয়ে মূল জায়গা থেকে সরে ভিন্ন জায়গা চলে এসেছে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলছি, এই যে হাজার হাজার লোককে আহত করছেন, গুলি করছেন, মামলা করছেন। আবার আগের মতো একই কায়দা মামলা করছেন। এসব করে ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখা যাবে না। এসব করে বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানাতে বানাতে এমন একটা পর্যায় নিয়ে গেছেন যে, বাংলাদেশের মানুষ আজ রুখে দাঁড়িয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রামী মানুষ। বাংলাদেশের মানুষ সবসময় তাদের অধিকার আদায় করে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। সেই সংগ্রাম শুরু হয়েছে। সেই সংগ্রাম অবশ্যই মানুষ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তারা অর্জন করবে।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এবং ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুলের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, গ্রন্থের লেখক হারুন-অর-রশিদ ও প্রকাশক মো. জহির দীপ্তি প্রমুখ।