বাকেরগঞ্জে সহিদ কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরী (নাটুবাবু) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম ফলক উন্মোচন

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২৩:১৯, সেপ্টেম্বর ০৮ ২০২২ মিনিট

মোঃ বশির আহাম্মেদ, বাকেরগঞ্জ // বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতি বিজারিত শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরী (নাটুবাবু) মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে নাম করন শেষে নাম ফলক উন্মোচন করা হয় গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি খলিফা মোঃ আল মামুনের সভাপতিত্বে বরিশাল জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ ইউনুস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ নাম ফলক উন্মোচন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া, সমাজ সেবক ও প্রতিষ্ঠাতা নাটুবাবুর স্ত্রী ছায়া রায় চৌধুরী, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক সহ স্থানীয় সংখ্যক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ইতিপূর্বে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব সোনাম দি চাকমা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এ বিষয় তার ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিপ্লব বহৃি রায় চৌধুরী জানান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পক্ষের সরকারের কর্মকর্তা ও উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের ঊদ্যোগে ও তাদের সুপারিশে শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে শহীদ কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরী (নাটুবাবু) মাধ্যমিক বিদ্যালয় নাম করন করায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের যারা এই মহৎ কার্য সম্পাদন করতে সার্বিক সহযোগিতা করছেন। একইসাথে আবেগপূর্ণ বক্তব্যে তিনি স্বরণ করেন তার বাল্যবন্ধু ও সহপাঠী মরহুম মাসুদুর রহমান খলিফা সহ সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মুক্তি যোদ্ধাদের স্মৃতি বিজারিত একমাত্র মুক্তি যোদ্ধা ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত এ বিদ্যালয়টি মুক্তি যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা জমিদার নাটুবাবু ১৯৩২ সানে স্থানীয় সাধারণ মানুষের পড়ালেখার সুবিধার কথা বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠা কালীন শুরু থেকেই বিদ্যালয়টি নিয়ে স্থানীয় কুচক্রী মহল নানান স্বরযন্ত্রে লিপ্ত হয়। এমন কি যুদ্ধ পরবর্তী এ চক্রটি নির্মম ভাবে হত্যা করেন মুক্তি যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক নাটুবাবুকে। পরবর্তীতে দানবীয় শক্তির সাথে লড়াই চালিয়ে তার স্ত্রী ছায়া রায় চৌধুরী কঠোর পরিশ্রম করে নিজ সন্তানদের মানুষ করার পাশাপাশি হাল ধরেন এই বিদ্যালয়ের। বীর মুক্তিযোদ্ধা কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরীর পরিবারকে উচ্ছেদের প্রচেষ্টা বিষয় টি বহুল ভাবে প্রচারিত হলে টনক নড়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের। তারা মুক্তি যুদ্ধের এই মহান মানুষটির সন্মান রক্ষায় সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিলে পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে শহীদ কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরী নাটুবাবু মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে নাম করনের আবেদন করে। অবশেষে সব রকমের বিরোধিতা উপেক্ষা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে মুক্তি যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ সংগঠককে সন্মানিত করলেন কতৃপক্ষ। মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতি বিজারিত বিদ্যালয়ের নামটি একজন প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধার নামে নাম করনকে স্বাগত জানিয়েছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের গন্যমান্য ব্যাক্তিরা ও দল মত নিবিশেষে সকল শ্রেনী পেশার লোকজন।