ডিসকাউন্টের পরও ৩-৬ হাজার টাকা লাভ!

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৩১, সেপ্টেম্বর ০৭ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে ডিসকাউন্টের নামে নির্ধারিত মূল্যের থেকেও অধিকমূল্যে ফ্রিজের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে ট্যাগ লাগানোয় বরিশালে একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকার আরো দুটি ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বরিশাল নগরের সদর রোড এবং গির্জা মহল্লায় এলাকায় এ অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাফিয়া সুলতানা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়া জানান, অভিযানে তিনটি ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রয় (ব্যবসায়ীকে) প্রতিষ্ঠানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে স্যামসাং ও ইলেক্ট্রার ডিলারের শো-রুমে অভিযানে গিয়ে আমরা দেখতে পাই একটি ফ্রিজের আসল মূল্য ২২ হাজার ৯০০ টাকা হলেও সেটির গায়ের ট্যাগে লাগানো আছে ২৯ হাজার ৯০০ টাকার। আবার সেই ট্যাগে বলা হচ্ছে ৪ হাজার টাকা ডিসকাউন্ট দেওয়ার কথা, যা দিয়ে ফ্রিজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৯০০ টাকা। অর্থাৎ ডিসকাউন্ট দিয়েও আসল বিক্রিয় মূল্যের থেকে তিন হাজার টাকা বেশি দাম ধরা হয়েছে। একই শো-রুমে ৩৫ হাজার ৯০০ টাকার একটি ফ্রিজের মূল্য লেখা হয়েছে ৪৫ হাজার ৯০০ টাকা। যে ফ্রিজটিতেও চার হাজার টাকা ডিসকাউন্ট দিয়ে বিক্রি মূল্য ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ৯০০ টাকা। অর্থাৎ এ ফ্রিজটিতে তারা ডিসকাউন্ট দিয়েও আসল বিক্রি মূল্যের থেকে ৬ হাজার টাকা বেশি দাম লিখে রেখেছে। এই অভিনব প্রতারণা জন্য ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া পণ্যের সঙ্গে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় এলজি বাটারফ্লাইয়ের শো-রুমকে ১০ হাজার টাকা এবং সিঙ্গার শো-রুমকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান চলাকালে স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে ভোক্তা অধিকার আইন সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে বাজার তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাফিয়া সুলতানা। এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করে বুধবার জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ বুঝে নিয়েছেন দু’জন ভোক্তা। সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়া জানান, ভোক্তার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকার নির্ধারিত ভাড়া অপেক্ষা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ঈগল পরিবহনের আবদুল্লাহপুর ও উত্তরা কাউন্টার প্রতিনিধিকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে সরবরাহ না করায় ঢাকার মুগদা পাড়ার ইউনিক কভারস নামক মোবাইল কভার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে অভিযোগকারী দু’জন ভোক্তাকে আইন অনুযায়ী জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ মোট দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়।