বরিশালে কমেছে সবজির দাম, বেড়েছে মুরগি-আদা-চিনির

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:১৯, সেপ্টেম্বর ০৩ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে মুরগি, আদা, চিনি ও ময়দার দাম। জ্বালানি তেলের দাম কমার পরও অন্যসব নিত্যপণ্যের ঊচ্চমূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। নগরীর পোর্টরোড সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা কমেছে। ফুলকপি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০, পটল ৩০, কাঁকরোল ৫০, চিচিঙ্গা ৪০, ঝিঙে ৪০, বরবটি ৫০, করলা ৫০, শিম ২০০, পেঁপে ৩০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর ১৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা ও ধনেপাতা ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মাসখানেক আগে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর পরিবহন খরচ বাড়ার অজুহাতে প্রায় সবধরনের পণ্যের দামই বেড়েছিল। পাঁচদিন আগে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়। তবে এক সপ্তাহ আগে যে দামে বিক্রি নিত্যপণ্য হয়েছিল, প্রায় সব ধরনের পণ্য সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, আলু প্রতি কেজি ২৬-২৭ টাকা, দেশি রসুন ৮০ টাকা, চীনা রসুন ১২০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ১০০ টাকা ও ছোট দানার মসুর ডাল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেশি ও চীনা আদা প্রতি কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। দেশি আদা পাঁচ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকা, চীনা আদা ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট আটা ৬০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, খোলা চিনি দুই টাকা বেড়ে ৮৮ টাকা ও প্যাকেট চিনি ৫ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ভোজ্য তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯২ টাকায়। বাজারে চালের দামে হেরফের হয়নি। সব ধরনের চালের উচ্চমূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা বাজারে সরু মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকা। আর ভালোমানের বিআর-২৮ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। সোনালি মুরগি কেজি ২৮০ টাকা, ব্রয়লার ১৬০ টাকা ও কক বা লেয়ার ২৭০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের প্রতি হালি ডিম ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। বাজারে মাঝারি সাইজের ইলিশের কেজি এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ২০০-২২০ টাকা, কই মাছ ৩২০ টাকা, মাঝারি সাইজের শোল ৭০০- ৮০০ টাকা, চাষের শিং ৫০০-৬০০ টাকা, রুই ও কাতল ৪৫০-৫০০ টাকা ও ছোট সাইজের চিংড়ি ৯৫০-এক হাজার ৫০ টাকা, নদীর পাঙ্গাশ ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নগরীর পোর্টরোড বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মো. শাহিন নামে এক ক্রেতা বলেন, দেশে বিভিন্ন অজুহাতে ঝড়ের গতিতে শুধু দাম বাড়ে। এক বাড় দাম বাড়লে কমার লক্ষণ আর দেখা যায়না। নগরীর পোর্টরোড বাজারের খুচরা মুদি দোকানি জায়াত স্টোরের মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, জ্বালানি তেলের দাম কমেছে বলে ক্রেতারা দোকানে এসে নিত্যপণ্য কেনার সময় সমানে দরকষাকষি করছেন। কিন্তু মাসখানেক আগে ডিজেল ও কেরোসিনে প্রতি লিটারে বেড়েছিল ৩৪ টাকা। পাঁচদিন আগে প্রতি লিটারে কমেছে মাত্র পাঁচ টাকা। পরিবহন খরচসহ পাইকারি পর্যায়ে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।