তিস্তাপাড়ে ফের বন্যা, পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:২০, সেপ্টেম্বর ০২ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ তিস্তাপাড়ে কয়েকবার বন্যার ধকল কাটতে না কাটতেই আবারও দেখা দিয়েছে বন্যা। উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে তিস্তাপাড়ের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দোয়ানি পয়েন্টে তিস্তার পানি কমলেও ভাটিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাউবো সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৩টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) তিস্তার পানি রাত ৯টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও শুক্রবার সকালে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। তিস্তার ভাটি এলাকায় ধীরে ধীরে পানি বেড়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চলতি বছরে পঞ্চম দফার এ বন্যায় জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, চোংগাডারা, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, পানিবন্দি পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী খুব দ্রুত ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হবে।