‘গুচ্ছ’ কমিটির তোপের মুখে ইউএনও

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৪১, আগস্ট ৩১ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ তেতুঁলিয়া নদীর ভাঙনের মুখে পড়া একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্মুক্ত নিলাম ডেকে তোপের মুখে পড়েন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন। গুচ্ছ (নিলামে অংশ নিতে গঠিত কমিটি) কমিটির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, হৈচৈ আর উত্তেজনার কারণে শেষ পর্যন্ত ওই নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করেন ইউএনও। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার ৬টি পরিত্যক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও তেতুঁলিয়া নদীর ভাঙনের মুখে থাকা ধুলিয়া ইউনিয়নের বাসুদেবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন উন্মুক্ত নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলআমিন। ঘূর্ণিঝড় সিডরের পরে সৌদি আরবের নাম প্রকাশ না করার দাতার অর্থায়নে ফায়েল খায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালে বাসুদেবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়। অত্যাধুনিক এই ভবনটি এখন তেতুঁলিয়া নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। সম্প্রতি ওই ভবনটি মাত্র ৭ লাখ টাকা প্রাক্কলন দেখিয়ে নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৬টি পরিত্যক্ত ভবনের সঙ্গে বাসুদেবপাশা বিদ্যালয় ভবনটিও নিলামের জন্য নোটিশ জারি করা হয়। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উন্মুক্ত নিলামের আয়োজন করা হয়। এর আগেই উপজেলা পরিষদ চত্বরে বসে সরকার দলীয় কয়েকজন নেতা বাসুদেবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রয়ের জন্য গুছ কমিটি গঠন করে। প্রথমে পরিত্যক্ত ৬টি ভবন নিলামে তোলার পর বিপত্তি দেখা দেয় বাসুদেবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে। ভবনটির দাম হাঁকার সময় গুচ্ছ কমিটির তোপের মুখে পড়েন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, নামমাত্র মূল্যে ভবনটি ক্রয়ের জন্য গুচ্ছ কমিটি অপতৎপরতা শুরু করে। দাম হাঁকার সময় প্রকৃত ক্রেতাদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপর কৌশলে চাপ প্রয়োগ করে ভবনটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে গুছ কমিটি। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করে। ব্যর্থ হয়ে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে হৈচৈ শুরু করলে ভবনটির নিলাম স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপর সেখানে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, খুব শিগগিরই আবার ভবনটির নিলাম ডাকা হবে। নিলামে সব ক্রেতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।