নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিয়ের ১৭ দিন পর স্বামীকে রেখে ঢাকা থেকে ভোলার লালমোহনে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির নবম শ্রেণির এক ছাত্রী ইভা। এ ঘটনায় ঘর ছেড়ে পালিয়েছে প্রেমিক পিয়াস। এমন ঘটনার পর ইভার বাবা-মা ও স্বামী তাকে ফেরত নিতে না চাওয়ায় বিপাকে পড়েছে প্রেমিক পিয়াসের পরিবার।
জানা গেছে, ঢাকার মাদারটেক ভাসাবো এলাকার মেয়ে ইভা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমুতে প্রেম হয় লালমোহন পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকার পিয়াসের সঙ্গে। সে গজারিয়া হাই স্কুল থেকে গত বছর এসএসসি পরীক্ষা দেয়। ইভাও মাদারটেক এলাকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
আরও জানা যায়, ইমুতে প্রেম হওয়ার পর তাদের মধ্যে মোবাইলে কথাবার্তা চলতে থাকে। এরই মধ্যে ওই ছাত্রীর বাবা-মা তাকে ঢাকাতে জীবন নামের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের পর স্বামী বাড়িতে অবস্থান করলেও ১৭ দিনের মাথায় লঞ্চযোগে ভোলার লালমোহন চলে আসে ইভা। পরে পিয়াসের বাড়িতে এসে উঠলে পিয়াস বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ওই ছাত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের মেয়ে স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে আসায় তাকে নিতে চাইছে না। ইভার স্বামী জীবনও তার স্ত্রীকে ঘরে তুলতে অনিহা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে ইভার কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, তার সঙ্গে পিয়াসের সম্পর্ক আছে। কিন্তু ১৭ দিন আগে তারা বাবা-মা জোর করে তাকে বিয়ে দেন। সেই বিয়েতে রাজি ছিল না সে। বিয়ের পরও পিয়াসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত এবং ইমুতে তাদের প্রতিদিন কথা হত। ইমুতে পিয়াস তার বাড়ির ঠিকানা দেওয়ার পর সে ঢাকা থেকে একাই পিয়াসের বাড়িতে চলে আসে।
ইভা আরও জানায়, সে তার বাবা মায়ের কাছে ফিরে যাবে না। পিয়াসকে বিয়ে করে তাদের বাড়িতে থেকে যাবে।
পিয়াসের খালাতো ভাই রাফেজ জানান, মেয়েটির এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। এরপরও তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি বয়স হতো এবং মেয়েটির বিয়ে না হতো তাহলে আমরা পিয়াসের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করতাম। এখন কিভাবে পিয়াসের সঙ্গে বিয়ে দিব? আমরা থানা পুলিশ ও মেয়ের অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
