নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সোমবার বিকেলে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ঈশ্বরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে কবরে অবস্থান নেয়া কাবিলকে স্থানীয়রা বুঝিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম আবদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ঈশ্বরকাঠি গ্রামের নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘সোমবার বিকেলে নিজের খোঁড়া কবরের মধ্যে প্রবেশ করে ওপরে বাঁশ সাজাচ্ছিল কাবিল। এ সময় আশপাশের মানুষ গিয়ে তাকে কবর থেকে টেনে ওপরে তুলে আনেন।’
স্থানীয়রা জানান, ১৫ বছর আগে ঈশ্বরকাঠি গ্রামের রসূল ফকিরের ছেলে মো. কাবিল ফকির একই উপজেলার পাওতা গ্রামের দেনছের আলী হাওলাদারের মেয়ে আসমা বেগমকে বিয়ে করেন।
বিয়ের কয়েক বছর পর আরও দুটি বিয়ে করেন কাবিল। তবে আসমাসহ তিন স্ত্রীকে নিয়েই বসবাস করছিলেন তিনি।
কয়েক মাস আগে পারিবারিক কলহের জের ধরে তিন বছরের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান আসমা। পরে তাকে কয়েকবার বাড়ি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন কাবিল। সেই ক্ষোভ থেকেই কবর খুঁড়ে তাতে জীবন্ত সমাহিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
কাবিল বলেন, ‘আমি ভালোবেসে আসমাকে বিয়ে করেছিলাম। আমাদের সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলেও আছে। ওদের ছাড়া আমার জীবন বৃথা। ওদের না পেলে আমি কবরে বসেই মরে যাব। আর বেঁচে থেকে জীবন্ত লাশ হতে চাই না।’
এ বিষয়ে ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান এ কে এম আবদুল হক বলেন, ‘কাবিল কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন ধরেই সে নানারকম পাগলামি করছে। তবে নিজের কবর খোঁড়ার খবর পেয়ে আমি ওর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছি।’