‘ছাত্রলীগের উপর পুলিশি নির্যাতনের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দায়ী’
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ‘বরগুনায় ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর পুলিশি নির্যাতনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। আর এ জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগই দায়ী। তারা এ দায় এড়াতে পারেন না।’ শনিবার (২০ আগষ্ট) বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বলেন, ১৫ আগস্ট বরগুনায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করার ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কোনো ভাবেই দায় এড়াতে পারবেন না। তাদের অদূরদর্শিতার কারণে ছাত্রলীগের মধ্য প্রকাশ্যে গ্রুপিং শুরু হয়েছে।
বরগুনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব আবদুর রশীদ, সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মকবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, আলমগীর হোসেন, সাবেক জিএস মনিরুজ্জামান জামাল, সদ্য সাবেক সভাপতি অনিকসহ ছাত্রলীগের সাবেক ও পদবঞ্চিতরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে। এ কারণে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাসের পাশাপাশি আদর্শ ভুলণ্ঠিত হয়েছে। তাই অতিসত্ত্বর অগঠনতান্ত্রিক ভাবে গঠিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কে বা কারা পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙেছে পুলিশ তাদের সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়ে যেভাবে ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে এবং আমাদের সংসদ সদস্যর সাথে যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে তা শান্তিপ্রিয় বরগুনাবাসীকে ব্যথিত করেছে। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা অবিলম্বে জেলা ছাত্রলীগের এই কমিটি বাতিল করার দাবি জানান। তারা বলেন, তথাকথিত ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পুলিশের পক্ষে সাফাই গেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে।