আতঙ্কের নাম কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট এখন পর্যটকের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়েছে। জোয়ারের সময় এবড়ো-থেবড়ো সৈকতের কুয়ায় ডুবে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি প্রটেকশন পর্যটকসহ স্থানীয় মানুষ অপরিকল্পিত বলে মনে করছেন।
জিও টিউব ও জিও ব্যাগ স্থাপন করায় এর মধ্যে সৃষ্ট কুয়ায় ২২ জুলাই ডুবে মারা গেছে নাহিয়ান মাহাদি নাফি নামের এক পর্যটক। ২৮ জুলাই সকালে সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে বালু তোলার কুয়ায় পড়ে ডুবে যায় আরেক পর্যটক।
সবশেষ ৩ আগস্ট গোসলে নেমে রক্তাক্ত জখম হয় আরেক পর্যটক। স্থানীয় লোকজন ও ট্যুরিস্ট পুলিশ এদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলে প্রাণে বেঁচে যায়। সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকা এখন জোয়ারের সময় পর্যটকদের সাঁতার কাটার জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক।
জানা গেছে, জিও ব্যাগ ও জিও টিউবের ফলে জোয়ারে প্রবলভাবে ঘুর্ণিস্রোত সৃষ্টি হয়। জিও ব্যাগ, বাঁশ ও কনক্রিট পানির নিচে থাকে। যা পর্যটক দেখতে পায় না। যাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মুহূর্তে আনন্দ ম্লান হয়ে যায়।
পারিবারিক ভাবে আসা বহু পর্যটক এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে কুয়াকাটা থেকে ফিরেছেন। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য নাসির উদ্দিন বিপ্লব জানান, অপরিকল্পিতভাবে বীচ রক্ষার নামে জিও টিউব ও জিও ব্যাগ দেয়া হচ্ছে।
সৈকত থেকে যে যার মতো করে বালু কাটছে। বাঁশ পোতা হচ্ছে আবার উঠানো হয়েছে। ফলে জিরো পয়েন্ট এখন জোয়ারের সময় পর্যটকদের গোসল করার জন্য অনিরাপদ।
কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, সৈকতের রক্ষণাবেক্ষণ করতে তাঁরা সচেষ্ট রয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন জানান, সৈকত রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।