তজুমদ্দিনে ছাত্রী অপহরণ ৪দিনেও উদ্ধার হয়নি, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভোলার তজুমদ্দিনে নবম শ্রেণিতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের পর ৪দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এঘটনায় অপহৃত ছাত্রী মা বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার এজহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লিটন দাসের মেয়ে নিপা রানী দাস (১৪) শম্ভুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়েন। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্তর চাঁচড়া ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ মনির তাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিতেন। মনিরের এসব বিষয় অপহৃত ছাত্রী তার বাবা-মাকে জানান।
মেয়েকে উত্যক্ত করার বিষয়টি লিটন দাস মনিরের পিতা আব্দুল কাদেরসহ তার আত্বীয়-স্বজনকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে ১৭ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৭টায় নিপা রানী দাস প্রাইভেট পড়তে বাসা থেকে বের হয়ে শম্ভুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে আসলে পূর্বে থেকে ওৎপেতে থাকা রুবেল ও সোহেলসহ আরো ২/৩ জনের সহযোগীতায় ওই হিন্দু ছাত্রীকে অপহরণ করে মোটর সাইকেল যোগে নিয়ে যায় মনির। অপহরণের বিষয়টি মনিরের পরিবারকে জানালে তারা ওই ছাত্রীর
পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদান করেন বলেও এজহারে উল্লেখ রয়েছে।
অপহরণের পর ৪দিন অতিবাহিত হলেও অপহরণের শিকার ওই হিন্দু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এঘটনায় অপহৃত ছাত্রীর মা কাকলী রানী দাস বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত/০৩) এর ৭/৩০ ধারায় ৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামী করে তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৯। আসামীরা হলেন, মোঃ মনির (২৬), রুবেল (২৩), মোঃ আব্দুল কাদের (৫৫), মোঃ সোহেল (২৮) ও মোঃ কাঞ্চনসহ (৪০) অজ্ঞাত আরো ২-৩ জন। পরে পুলিশ এজহারনামীয় আসামী সোহেল ও কাঞ্চনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শম্ভুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, অপহরণের শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আমি স্কুলের স্বার্থে সার্বক্ষণিক প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছি। অপহরণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি যাতে আরে কেউ স্কুলের ছাত্রীদের সাথে এধরনের কাজ করতে সাহস না পায়।
জানতে চাইলে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা তজুমদ্দিন থানার এস আই মোঃ জাকির হোসেন বলেন, অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আসামী ২জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করি। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার ও মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।