বরগুনায় আরও পাঁচ পুলিশ প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরগুনায় শোক দিবসে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় জেলা পুলিশের কর্মকর্তা সহ আরো পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বরগুনা সদর থানার এএসআই সাগর, পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল রাফিউল ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল কেএম সানি এই তিনজনকে প্রত্যাহার করে ভোলা জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ডিবি পুলিশের এএসআই ইসমাইল ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল রুহুল আমিনকে প্রত্যাহার করে পিরোজপুর জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাছান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এসএম তারেক রহমানের মুঠোফোন নম্বরে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে প্রত্যাহার করে প্রথমে বরিশাল রেঞ্চে এবং পরে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের কাঙ্খিত পদবঞ্চিত ও পদপ্রাপ্তদের সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। এতে পুলিশ সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্র লীগ নেতা কর্মিদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের বেধরক ও নির্মম ভাবে লাঠি পেটা করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ভেঙে যাওয়া গ্লাসের ক্ষতিপূরণ ও অপরাধীর বিচারের কথা জানান। তাতেও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহরম শান্ত না হয়ে এ্যাকশন চালিয়ে যায়। এ সময় মহরম সংসদ সদস্যেরর সাথে অশোভন আচরণ করেন। তারঁ নিষেধ উপেক্ষা করেই পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে।এতে ছাত্র লীগের ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়।