বাকেরগঞ্জে প্রায় চার কুটি টাকা ব্যয়ে সেতুতে উঠতে লাগে সিঁড়ি

দেশ জনপদ ডেস্ক | ০২:২৯, আগস্ট ১৪ ২০২২ মিনিট

মোঃ বশির আহাম্মেদ,  বাকেরগঞ্জ // বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৭নং কবাই ইউনিয়নের প্রান কেন্দ্র হানুয়া বাজার সেতু। নির্মিত আয়রন সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় দুর্ভোগে পড়েছেন পাশের কয়েকটি গ্রামের হাজারো বাসিন্দা। ইউনিয়নের হানুয়া বাজার থেকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শহরের সংযোগ সড়কের মাঝে পোড়ারধন খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ৩ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করে এলজিইডি। তেতুটির নির্মাণ সময় সীমা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। অথচ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে কাজ শুরু করেন ঠিকাদার এ্যাডভোকেট নাসির মাঝি। সর্বশেষ ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তেতুটির ঢালাই, উপরের রেলিংয়ের কাজ শেষ করে ঠিকাদার। প্রায় দের বছর আগে সেতুটির নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ রেখে ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই ঠিকাদারের। সেতু নির্মাণকালে বিকল্প সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি। স্থানীয়রা জানান, সেতুটি নির্মাণ হলেও জনদুর্ভোগ কমেনি। কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এলাকার অসুস্থ মানুষকে সেই সেতু দিয়ে হাসপাতালে নিতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সরকারের প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে ঠিক,কিন্তু এই সেতু তেমন উপকারে আসছে না। এখন আরো ভোগান্তিতে পরেছে হাজার হাজার মানুষ। সেতুতে উঠতে হলে কাঠের তৈরি করা সিঁড়ি বেয়ে অন্তত ২০ ফুট উঁচুতে উঠে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সিঁড়িতে উঠতে ও নামতে গিয়ে বেশ কয়েকজন বৃদ্ধ ও শিশু পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। সেতুর দুইপাড়ে দুটি বাজার,১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে,পেয়ারপুর বাজার,লঞ্চঘাট,বাস স্ট্যান্ড,লক্ষীপাশা বাজার সহ উপজেলা ও জেলা শহরে প্রায় ১০-১৫ হাজার মানুষ এই সেতু দিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও বরিশাল থেকে পেয়ারপুর হয়ে বাউফলের কাছিপাড়া,কনকদিয়া সহ কয়েকটি ইউনিয়েনের হাজার হাজার মানুষ এই সেতু দিয়ে চলাচল করে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, কবাই হানুয়া এই আয়রণ সেতু দুই পাসে রাস্তার ঘেষে দোকানপাঠ রয়েছে। দোকানগুলো এখনো অপসারণ করতে না পারায় এখনো সংযোগ সড়ক করা হয়নি। সেতুর সমস্যা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবেন বলেও জানান উপজেলার প্রকৌশলী।